142 বার পঠিত
আমতলী (বরগুনা)প্রতিনিধি>-বরগুনার আমতলীতে বিয়ের ১৪ বছর পর পরকীয়া ও চুরির অভিযোগে স্ত্রী কুলসুম আক্তার (৩১) ও তার প্রেমিক শ্রী বিকাশ মজুমদারের (৩৬) এর বিরুদ্ধে চুরি ও ব্যাভিচারের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন স্বামী গোলাম আজম সোহেল।
গত (২৮ নভেম্বর) আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এ বাদী হয়ে স্বামী গোলাম আজম উক্ত মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগ ও এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমতলী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা গোলাম আজম সোহেল ১৪ বছর পুর্বে পার্শ্ববর্তী বরগুনা সদর থানার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের কুমড়াখালী এলাকার মো. চান মিয়ার মেয়ে কুলসুম আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তান রয়েছে।
অন্যদিকে মামলার ২ নং আসামী প্রেমিক বিকাশ মজুমদারের স্ত্রীসহ ১ সন্তান রয়েছে। মামলার বাদী গোলাম আজম সোহেল জানান, আমার স্ত্রী ও মামলার ২ নং আসামী বিকাশ মজুমদার বেসরকারী সংস্থা আশায় একই অফিসে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতো। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লম্পট বিকাশ মজুমদার তার স্ত্রীকে বিভিন্ন প্রোলভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং শারীরিক মেলামেশা শুরু করে।
বিষয়টি জানার পর স্ত্রীকে একাধিকবার সতর্ক করলেও শোনেনি। এদিকে, গত ৭ অক্টোবর স্বামী গোলাম আজম সোহেল বাড়ীর বাইরে থাকার সুবাদে প্রেমিক বিকাশ মজুমদারকে ঘরে ডেকে আনে ওই নারী। তাদের অসামাজিক কার্যকলাপের পর নগদ ১ লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ও সমমূল্যের স্বর্নলংকার সহ সর্বমোট দুই লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে চম্পট দেয় ওই নারী ও তার কথিত প্রেমিক বিকাশ মজুমদার।
পরে গত ২৮ নভেম্বর ভুক্তভোগী গোলাম আজম সোহেল আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ ৪৯৮/৩৮০/১০৯ ধরায় মামলা দায়ের করেন। সরেজমিনে পাথরঘাটা পৌর এলাকায় বিকাশ মজুমদারের বাড়ীতে গিয়ে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে তার পরিবারের কেউ রাজি হয়নি। স্ত্রী কুলসুম আক্তার বলেন আমি আমার স্বামী গোলাম আজমকে ডির্ভোস দিয়েছি। মামলার বাদী গোলাম আজম বলেন, আমি যখন বিয়ে করেছি তখন আমার স্ত্রী কুলছুম এইচ এসসি পাস আমি আমার অর্থ দিয়ে তাকে মার্ষ্টাস পর্যন্ত পড়াশুনা করিয়ে আশা এনজিওতে চাকুরী দিয়েছি। আশা এনজিওতে চাকুরীতে যে জামানত দিতে হয় সে টাকাও আমি দিয়েছি।
বরগুনা সদর শাখায় চাকুরী করার সময় অফিসের সহকারী ম্যানেজার বিকাশ মজুম দারের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এঘটনা জানার পর আমি স্ত্রী কুলসুমকে একাধিকবার সতর্ক করেছি। আমি সন্তানদুটির মুখের দিকে চেয়ে বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে অন্য ধর্মাবলম্বী বিকাশ মজুমদারের সাথে পরকিয়া চালিয়ে যায়।
আমি এ ঘটনার বিচারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আমি ন্যায় বিচার চাই। গোলাম আজমের দায়েরকরা মামলার আইনজীবি এ্যাড. এম এ কাদের মিয়া বলেন, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে, আশা করছি বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পাবে।