1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
হবিগঞ্জে ঝুঁকি নিয়ে এবারও ব্রি-২৮ ও ২৯ ধান আবাদ হচ্ছে নেই তদারকি - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নলডাঙ্গায় পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধুর আত্মহত্যা! কিশোরগঞ্জে ছোট্ট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বড়ভাই নিহত খাগড়াছড়িতে জেলা পর্যায়ে স্টেকহোল্ডার ক্যাম্পেইন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত  দূর্যোগ মোকাবেলায় ১কোটি সেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষন দিয়ে গড়ে তুলবেন প্রতিমন্ত্রী মহিব খাগড়াছড়ি’র ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা দেখতে কানায় কানায় পূর্ণ খাগড়াছড়ি স্টেডিয়াম সৌদি আরবে বাংলাদেশী প্রথম হজ যাত্রীর মৃত্যু আমতলী পৌরসভার দু’টি বাস স্টান্ড উদ্বোধন  খাগড়াছড়িতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে কোরআনখানী, দোয়া মাহফিল ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন খাগড়াছড়ি পুলিশ ক্লুলেস হত্যার উন্মোচনে সংবাদ সম্মেলন আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

হবিগঞ্জে ঝুঁকি নিয়ে এবারও ব্রি-২৮ ও ২৯ ধান আবাদ হচ্ছে নেই তদারকি

লিটন পাঠান
  • প্রকাশ সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪

 45 বার পঠিত

হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় গত কয়েক বছর ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ ধান আবাদ করে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া কৃষকরা এবারও ঝুঁকি নিয়ে ওই ধান আবাদ করছেন। সরকারীভাবে এই ধান আবাদ করতে না বলা হলেও কৃষি অফিসারদের তাদরিকের অভাবে ঝুকি নিয়েই চাষ করছেন এই ধান। তবে অধিকাংশ কৃষক এবার ব্রি ৮৮,৮৯ ও ৯২ ধানের আবাদ করছেন। হবিগঞ্জের হাওরে এখন প্রচন্ড ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে কৃষকরা ধান লাগানোতে ব্যস্থ সময় পার করছেন।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার ১ লাখ ২২হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হবে বোরো ধান। যা গতবছরের ছেয়ে ২২৫ হেক্টর বেশি। ইতোমধ্যে জেলায় ৫৪ হাজার ২১৩ হেক্টর জমিতে ধানের চারা লাগানো হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাওরে গিয়ে দেখা যায়।

প্রচন্ড ঠান্ড বাতাস বইলেও কৃষকরা ধানের চারা লাগানো আর ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করতে ব্যস্থ সময় পার করছেন। এ সময় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, গতবছর ২৮ ও ২৯ ধান আবাদ করে ফসল ঘরে তুলতে পারিনি। এবারও ঝুকি নিয়ে কিছু জমিতে এই ধান আবাদ করেছি। কারন এই ধান খাবারের জন্য খুবই ভাল। তিনি আরও জানান, শীত থাকলেও কৃষকরা ঘরে বসে থাকতে পারে না। সেচ ও শ্রমিক মজুরী বাড়লেও কি খাব এই চিন্তা করে ৫ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছি। একই গ্রামের কৃষক সুরত আলী এবং মাধবপুর উপজেলার কৃষক মহন মিয়া জানান, বোরো ধান আবাদ করতে বিঘা প্রতি যে খরচ হয় ধান বিক্রি করে সেই খরচ উঠেনা।

শ্রমিক মজুরী বেড়েছে বেড়েছে ডিজেল কীটনাশকসহ সবকিছুর দাম। সব্জির দাম বাড়লেও বাড়ে না ধানের ধান। ফলে কৃষকরা ধান আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছে। পইল গ্রামের প্রান্তিক কৃষক আব্দুল কালাম বলেন, কৃষি অফিসারদের কোন উপদেশ না নিয়েই ব্রি ২৮ ধান আবাদ করেছি। নতুন ধানের জাতের বীজ ৪৫০ টাকা কেজি। এত বেশি দাম দিয়ে বীজ কিনলে খরচ বেড়ে যাবে। এমনতেই সবকিছুর খরচ বেশি। হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুরে আলম জানান, কৃষি বিভাগ ব্রি ২৮ ও ২৯ ধান আবাদ না করতে কৃষকদেরকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কিছু কৃষক পুরনো অভ্যাসের কারনে এখনও ব্রি ২৮ ধান আবাদ করছে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২২-২০২৩ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park