142 বার পঠিত
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে জিরো পয়েন্টের দুদিকে প্রায় এক কিলোমিটার জুরে জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ এখন পর্যটকদের মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ২০১৮ সালের শেষের দিকে। পাউবোর উদ্যোগে সৈকত রক্ষায় জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ বসানোয় হলেও তবে এর কোনোই সুফল মিলছে না। বরং
বিপজ্জনক ছোটো-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে । এই গর্ত এখন আগত পর্যটকদের ভোগান্তির চরম বিপাতজনক কেন্দ্রস্থলে পরিনত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন এবং পাউবোর কর্তৃপক্ষ ঘটন স্থান পরিদর্শন করে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ অপসারণের কথা বললেও, কখন কত তারিখ করবে তেমন কোন নিশ্চয়তা দেননি।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা গেছে,
ভাটার সময় থাকে ছিন্নভিন্ন বিশৃঙ্খলা পরিবেশ ও গর্তে কোমর সমান পানি জমে থাকে। খাঁদে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায়ও বেগ পেতে হয়। এবং অনেক পুরনো হওয়ায় জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ শ্যাওলা পড়েছে চলতে গিয়ে স্লিপ খেয়ে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে অহর অহর।
জানা গেছে, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্টে প্রধান কেন্দ্রস্থলের দক্ষিন-পূর্ব ও পশ্চিম দিকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বনাঞ্চল নেই। মাত্র দেড় কিলোমিটার সৈকতের তীর রক্ষাকল্পে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ এবং জিও টিউব বসিয়েছিল (পাউবো) কতৃপক্ষ।
পর্যটকরা আশিক বলছেন , বর্তমান কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের এমন অবস্থায় জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি এখান থেকে বাসা গিয়ে আসলে বন্ধুদের কি রিভিউ দিব, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বস্তা তাছাড়া আর কি। আমি মনে করি দ্রুত যদি এগুলো অপসারণ করা না হয়, অনেকেই কুয়াকাটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবেন।
পর্যটক ডাক্তার মায়া বলেন, খুলনা থেকে কুয়াকাটা কাছে হওয়ায় মন ভালো করার উদ্দেশ্যে ছুটে আসি বিশাল সমুদ্রের পাড়ে, তবে সমুদ্র থাকলেও সী বীচ দেখা যাচ্ছে না সবই বস্তা। এমন অব্যবস্থাপনার স্থায়ী সমাধান করতে না পারলে দক্ষিন জনপদে পর্যটন শিল্প হুমকির কবলে পরবে।
পর্যটকরা অনেকেই জোয়ারে সময় প্রথমবার সৈকতে গিয়ে কোনো ধারনা ছাড়াই গোসলে নেমে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার শিকার হয়।এসব সমস্যা গুলো তুলে ধরার জন্য সমুদ্র সৈকতে নেই কোনো সচেতনতা ব্যবস্থামূলক সাইনবোর্ড কিংবা জরুরী নির্দেশিত কোনো চিহ্ন।
কুয়াকাটা টোয়াক এর সাধারণ সম্পাদক কেএম জহির খান জানান , ইতোমধ্যে সরকারের কোটি কোটি টাকার বরাদ্দকৃত অর্থ কয়েক ধাপে ব্যয় করেও কোনো লাভ হয়নি। বরং পর্যটন এলাকায় আগত পর্যটকরা বহু বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ দিয়ে।
কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টা আমি অবগত রয়েছি এবং সরজমিনে গিয়ে বিষয়টি লক্ষ্য করলাম, তিন চার বছরের আগে জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ বালুর সাথে মিশে আছে, এতে সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে এবং পর্যটকদের চলাফেরা করতে বিঘ্ন করছে। আমি পাউবোর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি অতি দ্রুত যাতে অপসারণ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত আমাদের উপহার দেয়।
পাউবোর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ বিন ওয়ালিদ জানান, সৈকত রক্ষায় অস্থায়ীভাবে এ পরিকল্পনায় কিছুটা বালুক্ষয় রোধ হচ্ছে। তবে পুরনো কিছু জিও টিউব এবং জিও ব্যাগ রয়েছে অতি দ্রুত তুলে নেয়া হবে।নতুন করে ভাঙ্গন রক্ষায় কাজ করব।