1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
শহীদ ফেলানী - দৈনিক দেশেরকথা
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা ও সর্বোচ্চ ২৮০৫ টাকা ।  সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে টাস্কফোর্স গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী শক্তি বর্তমানে দেশ চালাচ্ছে: তথ্য উপদেষ্টা ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় পুলিশের ওপর হামলা: ডিএমপি বেনাপোল সীমান্তে সড়ক দূর্ঘটনা বিজিবি সদস্য নিহত, ১ আহত ১ শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ১৫ মার্চ শনিবার  নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশের হটলাইনে একদিনে শতাধিক অভিযোগ এখন দেশে কোরআন ও সুন্নাহভিত্তিক শাসন প্রয়োজন: জামায়াতে ইসলামীর আমির বেনাপোলে ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল

শহীদ ফেলানী

ইবতেশাম রহমান সায়নাভ 
  • প্রকাশ বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

 34 বার পঠিত

ফেলানীকে ভুলে যাওয়া সহজ, কিন্তু ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না। ফেলানী কোনো গুরুত্বপূর্ণ মানুষ নয়, অতি সামান্য একজন কিশোরী। ২০১১ সালে মারা গেছে ভারত-বাংলাদেশ সিমান্তে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে। তখন গণমাধ্যমে একটি ছবি বের হয়েছিলো, সীমান্তবর্তী কাটাতারে ঝুলন্ত লাশ, আমরা চমকে উঠেছিলাম। তার মৃত্যুটি একটি প্রতীকী ঘটনা হয়ে রয়ে গেছে। 

ফেলানীর মৃত্যু হয় তার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে। কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বর উপজেলা সীমান্ত। মধ্যরাত। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি। বিএসএফের গুলি খেয়ে যে কিশোরী মেয়েটা ঝুলে থাকল কাটাতারে নাম তার ফেলানী। হবু স্বামীর জন্য ভালোবাসার কথা লিখেছিল সে। সুঁই সুতোয় সেটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাও চলছিল। সাথে একটি ফুল। হাত রুমালে নকশা করে নিজের মনের ভেতর লুকিয়ে রাখা আবেগটা জানাতে চেয়েছে সে। সেটি আর হয়ে ওঠেনি। কুড়িগ্রামের ঘন কুয়াশায় ঢাকা রাতের আঁধারে কাটাতারের বেড়ায় আটকে গেলো তার স্বপ্ন। সেই সাথে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের গুলিতে গেলো জীবন। ডান বুকে বিধে যাওয়া গুলির সাথে বেরিয়ে আসা রক্তের দাগটা স্পষ্ট ছিল। সাদা কাফনে জড়ানো কচি মুখের দিকে তাকিয়ে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিল কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বর উপজেলা দক্ষিণ রামখানার মানুষ। এমন বর্বরতা তারা আগে দেখেনি। তাই অনেকেই ছিলেন বিস্ময়ে বিমূঢ়। 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকর্মীদের সমালোচনার মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহার জেলার বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ শুরু হয়। এ সময় আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা নুরল ইসলাম ও মামা হানিফ। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আসামি অমিয় ঘোষকে খালাস দেন বিএসএফের বিশেষ আদালত।

এ রায় প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের সহযোগিতায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করে ফেলানীর পরিবার। ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পুনর্বিচার শুরু হলে ১৭ নভেম্বর আবারও আদালতে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। এরপর ২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালত পুনরায় অমিয় ঘোষকে খালাস দেন।

রায়ের পর একই বছর ১৪ জুলাই মানবাধিকার সংগঠন মাসুম ফেলানীর বাবার পক্ষে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিট করে। ওই বছর ৬ অক্টোবর রিট শুনানি শুরু হয়। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে কয়েক দফা শুনানি পিছিয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শুনানির দিন নির্ধারণ করা হলেও শুনানি হয়নি। এরপর ২০১৯ ও ২০২০ সালে কয়েকবার শুনানির দিন নির্ধারণ করা হলেও শেষ পর্যন্ত শুনানি হয়নি। [ সূত্র: প্রথম আলো] 

আজ অনেক বছরপর বেরোবির প্রশাসন একটি দারুণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ফেলানী পিতা মাতাকে এনে শহীদ ফেলানী নামের হল ঘোষণা করেছে। তাকে আবার আমাদের মাঝে জীবিত করেছে, এভাবেই যুগযুগ ধরে হাজারো ফেলানী আমাদের হৃদয়ে জীবিত থাকুক। 

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৫ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park