98 বার পঠিত
চাটখিল প্রতিনিধি> সারা দেশের মত নিজ উপজেলার চাটখিলেও কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় বায়ান্ন ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন একজন দেশ প্রেমিক আইনজীবী।
প্রতিবছর বিজয়ের মাসে ব্যারিস্টার দেওয়ান মামুনূর রশিদ নিজ উদ্যেগে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন। এটা যেন তার প্রতিবছরের নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। এই বছর রাজশাহী মহানগরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এডভোকেট মতিউর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন। সম্প্রতি চাটখিল উপজেলার কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তিনি ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি তার লেখা কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ একাত্তরের মা জননী বইটি উপহার প্রদান করেন।
এ সময়ে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও কবি নুরুল হুদা (রুদ্র নুর) এবং বিভিন্ন এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ। মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫২ তম বার্ষিকী তথা বিজয় বায়ান্নের এই মহেন্দ্রক্ষণে গৌরবময় বিজয়ের মাসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা ও সন্মান প্রদর্শন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহনকারীরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আতিক উল্লাহ বিএসসি’র সন্তান ৫নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাহালুল, বানসা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হেনা গোলাম মোস্তফা। মলংমুড়ি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ারুল আলম, হীরাপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম মোল্লা, বদলকোটের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল বাশার চৌধুরী, মমিনপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ এবং পুরুষোত্তমপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কায়কোবাদ (অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব)।
এই সময়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কবিতা রচনার জন্য কবি ও সাহিত্যিক নুরুল হুদা (রুদ্র নুর)কে বই উপহার দেয়ার পাশাপাশি ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন ব্যারিস্টার দেওয়ান মামুনূর রশিদ।
এই কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার মামুন জানান, হয়তো আগামী কয়েক বছর পর আমরা আর কোন জীবিত মুক্তিযোদ্ধোদের নাও দেখতে পারি। তাই, আমি একজন দেশ প্রেমিক আইনজীবী হিসেবে মুক্তি যোদ্ধাদের সারাদেশে সম্মান জানানোর লক্ষ্যে বিজয়ের বায়ান্নতম বছরে ৫২ টি ফুলের সমন্বয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও আমার রচিত “একাত্তরের মা জননী” বইটি উপহার দিয়ে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর চেষ্টা করে চলেছি। আমি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।
ব্যারিস্টার মামুন নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার মমিনপুর গ্রামের সন্তান। তার দাদা জ্ঞানতাপস দেওয়ান ফজল করিম মাস্টার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সশস্ত্র বীর যোদ্ধা ছিলেন। তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল- এর (বর্তমানে কলেজ) প্রতিষ্ঠাতাকালীন থেকে প্রায় ২৪ বছর (১৯৬০-১৯৮৩) সুপারেনট্যান্ট এর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কবি নজরুল হল এবং ড. কুদরাত-এ খুদা হলের প্রভোস্ট ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর মেজো ছেলে শহীদ শেখ জামালের শিক্ষক ছিলেন। ব্যারিস্টার মামুন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এর প্রাক্তন স্টাফ মরহুম দেওয়ান মাহাবুব আলম এর সন্তান।