1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
মতলব উত্তরে একটা ঘরের জন্য একটি পরিবারের আকুতি - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম কয়রা কালনা মাদ্রাসায় জামায়াতের সবক ও দােয়া অনুষ্ঠিত বেরোবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের অর্থসহ কুরআন দিয়ে ববণ করে নিল বেরোবি দাওয়াহ্ সোসাইটি সদরপুরে প্রাথমিক শিক্ষকদের মাঝে প্রাইভেট পড়ানোর প্রবনতা বাড়ছে  ইবিতে জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এমপি হয়ে অঢেল সম্পদের মালিক খুলনা-৬ আসনের বাবু আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েমের লক্ষ্যে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথকে ‘হিরো’ বানাতে গিয়ে অন্যদের অস্বীকার করা হয়েছে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র অন্তবর্তীকালীন কমিটির সাধারণ সভা ও পার্বত্যাঞ্চলের গুণী সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে স্বামীর সংসার রক্ষার্থে প্রেমিককে হত্যা শাহজাহান ওমরকে কারাগারে প্রেরণ, আদালত প্রাঙ্গনে জুতা-ডিম নিক্ষেপ

মতলব উত্তরে একটা ঘরের জন্য একটি পরিবারের আকুতি

শহিদুল ইসলাম খোকন
  • প্রকাশ রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

 165 বার পঠিত

কিছু বার্মিজ আর কাঠ দিয়ে জোড়াতালি দেয়া ঘরের বেড়া, চালার ছাউনি।  নেই কোন টিন। জীর্ণ এ ঘরে স্বামী-স্ত্রী আর সন্তান নিয়ে বসবাস শরীফ হোসেন মিয়াজির। শীতকালে ঘন কুয়াশায় শিশিরবিন্দু ফাক দিয়ে ঘরে ডুকে ঘরকে বরফের মতো আচ্ছাদিত করে রাখে সারা রাত। হিমেল হাওয়ায় গা ঠাণ্ডায় জমে বরফ হয়ে যায়। এই নিদারুণ কষ্টের মাঝেও নির্ঘুম বা কখনো ঘুমিয়ে কাটে তাদের রাত। কখন সকাল হবে একটু রোদ অথবা লাকড়ি দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা বরফে জমা শরীরটাকে একটু হালকা গরমের উষ্ণতা দিবে। সেই প্রতীক্ষায় কেটে যায় শীতের রাত।

আর গ্রীষ্মকালের সমস্যাও কম নয়। বৃষ্টি হলে বিভিন্ন ছিদ্র দিয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি। তুফান এলে ঘর নরবর করে। আতংক বিরাজ করে সবসময়। কখন জানি বাতাসে ঘর উড়ে যায়, আবার গাছপালা না জানি উপরে পরে। তাই ভয়ে অন্যর ঘরে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়।

তাদের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণচক গ্রামে। শরীফের ৪ শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া নেই কোনো সম্বল। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়ায় থাকতো। ভাড়ার টাকা দিতে না পারায় সেখান থেকে চলে আসতে হয়েছে। কিছু লোকের সহযোগিতায় কয়েকটি বার্মিজ আর কাঠ দিয়ে  একচালা একটি ঘরে বসবাস করে শরীফ মিয়াজি আর স্ত্রী সন্তান। শরীফ শারীরিকভাবে দুর্বল হওয়ায় কষ্টের কাজ করতে পাড়ে না। যা আয় করে তা দিয়ে ঠিকমত দুমুঠো খাবারও খেতেও পাড়ে না। স্ত্রী অসুস্থ। টাকার জন্য চিকিৎসাও করতে পাড়ছে না। এ নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। 

শরীফ অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, জীবনের ১০টা বছর এমন ভাঙা ঘরে কাটাইছি। এমন ঘরে  থাকতে খুবই কষ্ট হয়।  একটা ঘর হলে একটু শান্তি নিয়ে মরতে পারবো।  স্থানীয় ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান মিয়াজি বলেন, এ পরিবারটি ঘরের জন্য মানবেতর জীবনযাপন করছেন। একটি ঘর হলে ওদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park