133 বার পঠিত
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জনবলে সংকটে ভোগছে। দীর্ঘদিন এ সংকটের কারণে উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে। মোট ১১৩ পদের বিপরীতে বিভিন্ন পদে কর্মরত আছেন মাত্র ৭০জন। এখনো ৪৩টি পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শূন্য রয়েছে। সহসাই এসব পদ পূরণের কোন সম্ভাবনা দেখছেন না কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন শূন্য পদ পূরণে আমরা কয়েক দফায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদাপত্র দিয়েছি। সরকার জনবল নিয়োগ করলে এসব ভোগান্তি আর থাকবে না
জানা যায়, ২০১৬ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। ৫০ শয্যায় উন্নীতের পর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১১৩জন মোট জনবল অপরিহার্য্য হয়। কিন্তু বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এখনো ৪৩ জন জনবল ঘাটতি রয়েছে। এর মাঝে জনবল সংকটে রয়েছে ডাক্তার ৮জন, ডেন্টাল সার্জন ১জন, নার্স ৫জন, মাঠকর্মী ১৭জন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ৯জন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ৩জন। এই জনবল সংকটের কারণে বিদ্যমান কর্মরত জনবল দিয়ে আড়াই লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যষিত উপজেলার স্বাস্থ্যসেবা পুরোপুরি দিতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।
আউটডোর ও ইনডোরে উভয় ক্ষেত্রেই সেবা প্রত্যাশী অসংখ্য নারী পুরুষ ও শিশুরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবাসিকে ভর্তিকৃত রোগীদের ক্ষেত্রেও বিষয় ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অনেক রোগী প্রকৃত সেবা পাচ্ছে না। শুধু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় খুব জটিল রোগীদেরকে প্রায় সময়ই রেফার করতে দেখা যায় সরেজমিনে দেখা যায়, এসব জনবল ঘাটতির হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার অভাব ও পানি সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এদিকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা শাহ্ কলসুমা জানান- নামেই হাসপাতাল, সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যায় না। এভাবেই বিরূপ মন্তব্য করেন আগত সেবা প্রত্যাশী জীবন মিয়া, ফারুক মিয়া ও জাহানারা বেগমসহ আরো অনেক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ বাবুল কুমার দাশ জানান, জনবল সংকটে আছি। আমরা জনবল পুরণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদাপত্র দিয়েছি। সীমিত জনবল দিয়েই আমরা চিকিৎসা সেবা দিতে সর্বাত্বক চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নূরুল হক এ প্রতিনিধিকে জানান, প্রতিটি হাসপাতালেরই জনবল পুরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।