1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় রিমালে তছনছ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  - দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম পটুয়াখালীতে বাণিজ্যিকভাবে আগাম জাতের তরমুজের বাম্পার ফলন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি,হাছান ও নওফেলসহ মোট আসামি ৫২ জন হাইকোর্টে আবরার ফাহাদ হত্যার রায় কাল শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি তারেক রহমানের আহ্বান ২ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আবাস কক্সবাজার কেবল পর্যটন শহরই নয়, বরং অর্থনীতিরও কেন্দ্র :প্রধান উপদেষ্টা হঠাৎ বেড়েছে বাজারে বেগুনের দাম রায়পুরে সরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: অ্যান্তোনিও গুতেরেস দীর্ঘ এক যুগ পর ৭ এপ্রিল আংশিক ভাবে চালু হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় রিমালে তছনছ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান 

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ
  • প্রকাশ বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

 93 বার পঠিত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে উড়ে গেছে স্কুলের চালা, ভেঙ্গে হেলে পড়েছে চিনের প্রাচীর, শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ, একদিকে হেলে পড়েছে পুরো স্কুল ঘরটি তাই ক্লাস পরিক্ষা চলমান থাকলেও শিক্ষার্থীরা ফিরে যাচ্ছে। গত ২৬ মে তান্ডব চালানো এলাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রভাবে এভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পটুয়াখালী কলাপাড়ার মেনহাজপুর হাক্কানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের পতাকা উড়ছে, শিক্ষকরা বসে আছে তাবে কোনো শিক্ষার্থী নেই। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটিয়ে উঠার পরে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলেও ক্লাস করা কিংবা স্কুলে থাকারমত কোনো অবস্থা না থাকায় তাঁরা ফিরে গেছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আশরাফ উজ্জামান জানান, নীলগঞ্জ ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামে অবস্থিত স্কুলটি আশেপাশের সাত থেকে আটটি গ্রামের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছিল এই স্কুলটি। আন্দারমানিক  নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই স্কুলটিতে পাশ্ববর্তী উপজেলার তালতলীরও অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। তবে এখন যে পরিস্থিতি তাতে এই প্রতিষ্ঠানটি মেরামত না করা পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু সম্ভব না। তাই তিনি সহযোগিতা চেয়েছেন।

বুধবার ক্লাস করতে আসা ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মো. ওমর ফারুক ও মো. সামি। সব শিক্ষার্থীদের মত তাঁরাও ফিরে যাচ্ছে। তারা জানায়, স্কুলে এসে দেখি স্কুল ভেঙে গেছে, বসার জায়গা নেই তাই আমরা বাড়িতে চলে যাচ্ছি। এখন কাছাকাছি স্কুলও নাই যে আমরা লেখাপড়া করবো। আমরা চাই দ্রুত স্কুলটি মেরামত করা হোক।

মো. আব্দুল আজিজ নামের এক অভিভাবক জানান, আমাদের এই সাত-আট গ্রাম মিলে একটি স্কুল আমরা এখানে সবাই জেলে এবং খেটে খাওয়া মানুষ। এই স্কুলটি ছাড়া আমাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া হবে না, তাই যত দ্রুত সম্ভব স্কুলটি মেরামত করার জন্য অনুরোধ করছি।

কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুজ্জামান খান, কলাপাড়া উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৪টি কলেজ, ১২ টি স্কুল ও ২৫ টি মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই টিন সেটের ঘর। পুরো উপজেলা জুড়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আমরা এই সকল প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক পাঠদানের ব্যবস্থা নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে মিটিং করে তাদের একটি ব্যবস্থা করে দিব। এনিয়ে আমি ঊর্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। 

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৫ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park