1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
হিমেল হাওয়ায়  সহানুভূতির  উষ্ণতা  - দৈনিক দেশেরকথা
শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম হঠাৎ বেড়েছে বাজারে বেগুনের দাম রায়পুরে সরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: অ্যান্তোনিও গুতেরেস দীর্ঘ এক যুগ পর ৭ এপ্রিল আংশিক ভাবে চালু হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফকির লালন সাঁইজির কুষ্টিয়া ছেঁউরিয়ার আখড়া বাড়িতে ছোট পরিসরে পালিত হলো দোল উৎসব টাকা ছাপিয়ে আবারও ২৫শ কোটি টাকা ঋণ দিল বাংলাদেশ ব্যাংক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব গলাচিপায় ইউএনও’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ভুয়া নোটারিতে বোনকে সম্পত্তি দিতে চেয়েছিলেন টিউলিপ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে গুতেরেসের বৈঠক আজ

হিমেল হাওয়ায়  সহানুভূতির  উষ্ণতা 

ইবতেশাম রহমান সায়নাভ
  • প্রকাশ রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

 92 বার পঠিত

আজ শীতের সকালে ঘুম ভাঙতেই জানালার পর্দা সরিয়ে দেখলাম চারপাশ কুয়াশায় ঢাকা। রাস্তার ধারে গাছগুলো যেন সাদা চাদর মুড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পাখির ডাক নেই, রোদের উষ্ণতাও নেই। শুধুই ঠাণ্ডা হাওয়া আর প্রকৃতির স্তব্ধতা।

দূরে রাস্তায় একজন মানুষকে দেখলাম। পিঠে ভারী ব্যাগ নিয়ে সে ধীরে ধীরে হাঁটছে। হয়তো স্কুলে যাচ্ছে কোনো শিশু, কিংবা শ্রমজীবী কোনো মানুষ, যার কাজ শীতের বাধা মানে না। তার মাথায় একটা পুরোনো টুপি, হাতে ছেঁড়া একটা মাফলার। মনে হলো, শীতের এই কষ্ট সয়ে সে জীবনের যুদ্ধে এগিয়ে চলেছে।

আমাদের কাছে শীতের সকাল মানে আরামদায়ক বিছানায় একটু বেশি সময় কাটানো, গরম চা বা কফির কাপ হাতে নিয়ে জানালার বাইরে কুয়াশা দেখা। কিন্তু তাদের কাছে? যাদের জীবনের প্রতিটি দিন যুদ্ধের মতো, তাদের কাছে শীত মানে আরও কঠিন সংগ্রাম।

ভাবতে থাকি, আমরা তো নিজেদের আরামের জন্য অনেক কিছুই করি। কিন্তু কখনও কি ভেবেছি, এই ঠাণ্ডা হাওয়ার মধ্যে যারা কাজ করছে, তাদের জন্য একটু উষ্ণতার ব্যবস্থা করতে পারি কি না? যদি একদিন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা চায়ের দোকানে একজনকে এক কাপ চা কিনে দিই, তার দিনটা হয়তো একটু ভালো হয়ে যাবে।

এই ভাবনা আমাকে এক পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিল। তখন আমি ছোট ছিলাম। একবার শীতকালে বাবা আমাকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎ দেখলাম, এক ভিক্ষুক রাস্তার ধারে বসে কাঁপছে। বাবা তখন আমার শীতের মাফলারটা খুলে তাকে দিয়ে দিলেন। আমি অবাক হয়ে বাবার দিকে তাকালাম। বাবা বলেছিলেন, “মানুষ মানুষের জন্য, এই কথাটাই মনে রাখিস।”

আজ এত বছর পর সেই স্মৃতিটা যেন আমাকে আবার নতুন করে ভাবাচ্ছে। শীতের কষ্ট শুধু আমাদের অনুভব করলেই হবে না, অন্যদের অনুভূতিটাও বুঝতে হবে।

আমাদের ছোট ছোট কাজ হয়তো অন্যের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। শীতের সকাল আমাদের শেখায় দানশীলতা, মানবতা আর অন্যের কষ্ট ভাগ করে নেওয়া। আসুন, শীতের এই মৌসুমে আমরা শুধু নিজেদের আরামের কথা না ভেবে, অন্যের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করি।

শিক্ষার্থী : গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৫ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park