209 বার পঠিত
এক দশক আগেও ঈদের আমেজ শুরু হওয়ার সাথেই ঈদকার্ড বিতরণের মাধ্যমে বন্ধুদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হতো। ঈদকার্ড ছাড়া তখন ঈদের আনন্দ মাটি মাটি লাগতো। ঈদের কিছুদিন আগেই পাড়া-মহল্লার ও স্কুলের বন্ধুদেরকে ঈদকার্ড দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো হতো। তারাও ঈদকার্ডের মাধ্যমে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতো । বাজারে কেনা ঈদকার্ডের চেয়ে নিজে বানানো ঈদ কার্ডটাতেই বেশি বিনোদন পাওয়া যেত। তখন ঈদ কার্ড ছিল আমাদের হৃদয় বিনিময়ের বড় উপায় । বিশেষ করে তখন ক্যালেন্ডারের পাতা কিংবা ভারি কাগজে জরি ও রং দিয়ে ঈদকার্ড বানাতাম। তাতে ধান, পুঁতি, মেচের শলাকাসহ নানা খরকুট দিয়ে ঈদ মোবারক লেখা হতো। যদিও বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে ঈদকার্ড হারিয়ে যেতে বসেছে । তবে একেবাড়ে হারিয়ে যায়নি, ঈদকার্ডের জায়গা দখল করেছে বিয়ের কার্ড, নিমন্ত্রণ কার্ডসহ আধুনিক অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ।
ঈদকার্ড নিয়ে সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি ছিল গ্রামের রাস্তার ধারে বা পাড়া মহল্লার ছোট ছোট টং দোকানে বাচ্চাদের ঈদ উপলক্ষে হরেক রকমের ব্যবসায়। ঈদের আমেজ শুরু হওয়ার সাথেই বাচ্চারা নানা ধরনের স্টিকার, ঈদকার্ড, ডিম লটারি নিয়ে বসতো রাস্তার ধারে পলিথিনের বানানো দোকানে । কিন্তু বর্তমান সময়ে সেসব ছোট দোকানগুলো আর দেখা যায় না। আসল কথা ঈদের আনন্দ আর আগের মতো জমে উঠে না, সময় যতো গড়িয়ে যাচ্ছে আমাদের ছোটবেলার স্মৃতিগুলো হারিয়ে যাচ্ছে সেই সাথে আনন্দটাও কমে যাচ্ছে।
শিক্ষার্থীঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ।