96 বার পঠিত
উজিরপুর প্রতিনিধি > প্রবাসে কর্মরত পুত্রকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার অভিযোগ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করলেন দিনমজুর অসহায় পিতা।
নিহত প্রবাসী রুবেল হোসেন হাওলাদার ( ২৩) পাসপোর্ট নং EF 0448189 সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের নাডা আযা এয়ারকন্ডিশন সিষ্টেম নামের একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন সে উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের চাঙ্গুরিয়া গ্রামের মোঃ রফিক হাওলাদারের পুত্র।
গত ৯ মে প্রবাসে নিহত রুবেলের পিতা বাদী হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলের এন্ড কল্যান মহাপরিচালক বরাবরে পরিকল্পিত ভাবে পুত্র হত্যার ওই অভিযোগ দাখিল করেন।
নিহত রুবেলের পিতা রফিক জানান গত দুই বছর আগে দালাল বানড়িপারা উপজেলার চাখারের ইউনুছ মোল্লার পুত্র সবুজ মোল্লার মাধ্যমে প্রায় সাতলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে দুবাইতে পাঠানো হয়, দুবাইয়ে গিয়ে রুবেল প্রায় ৬ মাস কোন কাজ না পাওয়ায় তিনি জানতে পারেন যে তাকে ভ্রমন ভিসায় দুবাই আনা হয়েছে উক্ত বিষয় নিয়ে দুবাইতে বসে দালাল সবুজের সাথে মনমালিন্যর সৃষ্টি হয় অপরদিকে দেশে দালাল সবুজের স্বজনেরা বাংলাদেশে পাওনা টাকার জন্য রুবেলের পরিবারকে চাপ দিতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ঈদুল ফিতরের দিন (দুবাই) ৯ এপ্রিল রাত ১১ টা ( দুবাই সময় ) সর্বশেষ দেশে পিতা মাতার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে নিখোজ হলে রুবেলের সাথে তার পরিবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন, পরবর্তীতে ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় দালাল সবুজের মামা দুবাইয়ে কর্মরত রাজ্জাক ০০৯৭১৫৬৯৩০৬৫১১ নম্বর থেকে জানান রুবেল আত্মহত্যা করেছে তাই রুবেলের লাশ দুবাই পুলিশ নিয়ে গেছে তার ব্যবহৃত মোবাইল মানিব্যাগ অন্যান্য জিনিসপত্র ইমারত, ফরহাদ, ইমরানের কাছে গচ্ছিত রয়েছে। পরে গত ১ মে দুবাইয়ে কর্মরত বাংলাদেশী লোকের মারফতে খোজ নিয়ে জানতে পারি দুবাই মুরাক্কাবাদ পুলিশ স্টেশনে পুত্র রুবেলের লাশ হিমাগারে রক্ষিত আছে ও আত্মহত্যা করার কারনে বেওয়ারিশ হিসেবে রুবেলকে দাফনের চেষ্টা চলছে।
পরবর্তীতে দুবাই পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে নিহতের লাশ বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
নিহত রুবেলের পিতা রফিক বলেন পাওনা টাকা আদায়ের জন্য দালালচক্র পরিকল্পিত ভাবে আমার পুত্রকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয় লাশ গুম করে ফেলতে চেয়েছিল। এঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম বইছে উপার্জনক্ষম পুত্রকে হারিয়ে পরিবারটি এখন অসহায় দেশের প্রচলিত আইনে এই হত্যাকান্ডের বিচার প্রার্থনা করেন এলাকাবাসী ।