1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanhrd74@gmail.com : desher kotha : desher kotha
  3. mdtanjilsarder@gmail.com : Tanjil News : Tanjil Sarder
কিশোরগঞ্জে আলুর টপসয়েল মজুতিকরণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলা গাছের রোলার - দৈনিক দেশেরকথা
শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন

কিশোরগঞ্জে আলুর টপসয়েল মজুতিকরণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলা গাছের রোলার

আনোয়ার হোসেন
  • প্রকাশ সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩

 86 বার পঠিত

সনাতনী কৃষিব্যবস্থাকে টপকে দিয়ে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার কৃষি।প্রযুক্তির পাশাপাশি সময় ও অর্থ সাশ্রয়ের মাধ্যমে কৃষিকে আরো গতিশীল করে তুলতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা লোকায়েত জ্ঞানে উদ্ভাবন করেছেন কলা গাছের রোলার।যা রোপণকৃত আলুর টপসয়েল(কান্দি)মজুতি করণে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

কৃষকের এমন চমকপ্রদ উদ্ভাবন দেখতে প্রতিনিয়ত উৎসুক পথচারি ও স্থানীয়রা ক্ষেতের পাশে ভিড় জমাচ্ছে।কৃষকেরা জানায়,বিগত বছরগুলোতে তারা রোপণকৃত আলুর টপসয়েলে জমে থাকা গুড়ি গুড়ি মাটির ইটা,দলা ভাঙ্গানোর(মজুতি করণ)কাজে কাঠের পাতলা হাতল বিশিষ্ট ফাউরি ব্যবহার করত।এতে ১বিঘা জমিতে ৩জন শ্রমিকের ৮ঘন্টার কর্ম মজুরিতে ১হাজার ২০০টাকা ব্যয় হত।এখন রোলার বিশিষ্ট এ যন্ত্র ব্যবহার করে প্রতি বিঘায় সময় ব্যয় হচ্ছে ৩০মিনিট।

ওই পরিমান শ্রমিক দিয়ে ৪৮বিঘা জমি মজুতি করণ সম্ভব হচ্ছে।এতে সিংহভাগ সময় ও অর্থ সাশ্রয় হওয়ায় কৃষক এ পদ্ধতির দিকে ঝুঁকে পড়েছে।এ পদ্ধতি সাধারণত ৪হাত বিশিষ্ট কলা গাছের কান্ডের অগ্রভাগের দু পাশে বাঁশের মোটা কঞ্চি সংযুক্ত করা হয়।হাত দিয়ে টানার জন্য পরিমান মত রশি কঞ্চির সাথে রাউন্ড করে বেঁধে রোলার তৈরি করা হয়।

সরেজমিনে নিতাই,কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়,কলা গাছের রোলার দিয়ে কৃষক বিঘার পর বিঘা জমির রোপণকৃত আলুর টপ সয়েল মজুতি করণ করছে।এসময় নিতাই কাচারি পাড়া গ্রামের চাষি কাইয়ম,সফেদ আলী ও সদর ইসমাইল মাঝা পাড়া গ্রামের আবুজার রহমান বলেন,কলা গাছের রোলার একটি বিনা খরচে সাদামাটা একটি চমৎকার পদ্ধতি।যা আলুতে অতিরিক্ত উৎপাদন খরচ কমাতে বুদ্ধিসুদ্ধি খাটেয়া উদ্ভাবন করা হয়েছে।

আগে ১বিঘা জমির আলুর টপসয়েল মজুতিকরণ করতে ৩জন শ্রমিকের ১হাজার ২০০টাকা মজুরি গুনতে হত।এখন দ্রুতগতির নিজস্ব উদ্ভাবন রোলার দিয়ে ১বিঘায় ৩০মিনিট সময় লাগে।এর অনৃক’লে শ্রমিক মজুরি ব্যয় হয় ৭৫টাকা।অপরদিকে এ রোলার দিয়ে ৩জন শ্রমিকের ৮কর্ম ঘন্টায় ৪৮বিঘা জমির টপসয়েল মজুতিকরণ সম্ভব হচ্ছে।

এতে সময় সাড়ে ৭ঘন্টার সাথে অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে ১ হাজার ১২৫টাকা।আমাদের দেখে অন্য কৃষকেরা সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে এর ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন,সবসাধকের বড় সাধক চাষা।তারা যেন স্থানীয় জ্ঞান লোকায়েত চর্যায় পিছিয়ে নেই।প্রযুক্তির পাশাপাশি নিজস্ব উদ্ভাবনের মাধমে কৃষিকে আরো সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী করে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছে।বিশেষ করে তাদের লোকায়েত জ্ঞানে এ উদ্ভাবন শিংহভাগ সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী হওয়ায় কৃষির জন্য আর্শিবাদ হয়ে উঠেছে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২২-২০২৩ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park