1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
কিশোরগঞ্জে ফসল সুরক্ষায় কৃষকের পরম বন্ধু কাকতাড়ুয়া - দৈনিক দেশেরকথা
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মেট্রোরেলে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে তাণ্ডব আমার বিশ্বাস তারা ন্যায়বিচার পাবে, হতাশ হতে হবে না,জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীরা কোথাও আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি: ডিবিপ্রধান চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উলিপুরে আলোকিত শিশু কন্ঠ পরিষদের আয়োজনে পবিত্র  আশুরা পালিত পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুর আর নেই দেশের সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা নলডাঙ্গায় ১১ অসহায় পরিবারের মাঝে চেক ও ঢেউটিন বিতরন

কিশোরগঞ্জে ফসল সুরক্ষায় কৃষকের পরম বন্ধু কাকতাড়ুয়া

আনোয়ার হোসেন
  • প্রকাশ শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
দৈনিক দেশেরকথা
কিশোরগঞ্জে ফসল সুরক্ষায় কৃষকের পরম বন্ধু কাকতাড়ুয়া

 150 বার পঠিত


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি> পাখি তাড়ানোসহ ফসল সুরক্ষায় কাকতাড়ুয়া ব্যবহার আদিকাল থেকে।এক সময় ফসলের মাঠে কাকতাড়ুয়া ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মত। আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাল্টে যাচ্ছে কৃষি চাষাবাদ পদ্ধতি।তবুও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ফসল সুরক্ষায় কৃষকের পরম বন্ধু কাকতাড়ুয়া।ফসল সুরক্ষায় কাকতাড়ুয়ার ব্যবহার নিয়ে কৃষিভিত্তিক কোন দালিলিক প্রমাণ বা ভিত্তি নেই।

প্রবাদ আছে বিশ্বাসে বস্তু মেলে তর্কে বহুদূর।বিশ্বাসের জায়গা থেকে উপজেলার কিছু কৃষক বিভিন্ন ফল ফসলে পাখি,নিশাচর প্রাণী,ইঁদুর তাড়ানোসহ মানুষের কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষায় সনাতন পদ্ধতি কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করে আসছেন।শুক্রবার (২সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে মাঠের পর মাঠ আমন ধানের ক্ষেত। হঠাৎ দু-একটি ধানের  জমিতে চোখে পড়ে কাকতাড়ুয়া।

দূর থেকে দেখে মনে হয় কেউ জমিতে দাঁড়িয়ে আছে।এসময় কাকতাড়ুয়া ব্যবহারকারী চাঁদখানা ইউপির নগরবন গ্রামের আরিফ ও পুটিমারী ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের মানিক জানান,ফসল ভাল হলে মানুষ ঈর্ষা করে বিষচোখ বা কু-নজর পড়ে।এতে ফলন কমে যায়।এ কু-নজর এড়াতে ফসলের মাঠে মানুষের  অবয়বে কাকতাড়ুয়া দন্ডায়মান করে রাখা হয়। দুর থেকে দেখলে  মনে হয় মানুষ দাঁড়িয়ে আছে।যা প্রথম দর্শনে মানুষের  নজর সেখানে আটকে যায়।যা ফসল সুরক্ষা থাকে।

পাশাপাশি বিভিন্ন ফল ফসল,বীজতলায় ইঁদুর,পাখ-পাখালি ও নিশাচর প্রাণীর অবাধ বিচরণ  রোধে কাকতাড়ুয়া পাহারাদার হিসেবে  মানুষের  ভূমিকা পালন করে।এরা মানুষ ভেবে ফসলের মাঠে প্রবেশ করতে ভয় পায়। কিন্তু কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে এ সনাতন পদ্ধতি। এখন কৃষক আধুনিক পদ্ধতির রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে ফসল চাষাবাদ এবং রোগবালাই দমন করে।তবে পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া সনাতন কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করছি ফসল রক্ষার জন্য।কাকতাড়ুয়া আবহমান বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে। উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান,আগে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ছিল না। তাই কৃষকরা ফসল ফলাতে নানা পদ্ধতি ব্যাবহার করত। এখন বিজ্ঞানের যুগ সবকিছুই আধুনিক হচ্ছে।কৃষির উন্নয়নে নানা প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। তবে কাকতাড়ুয়ার মতো সনাতন পদ্ধতিগুলো এখনো কোনো কোনো কৃষক ব্যবহার করেন।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park