92 বার পঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং ও মেডিকেল ভাঙচুর ঘটনার তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ছয়জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) উাপাচার্যের কার্যালয়ে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল ভাঙচুরের ঘটনায় স্থায়ী বহিষ্কার হয়েছেন আইন বিভাগের ছাত্র রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য এবং র্যাগিংয়ের ঘটনায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমন। এছাড়াও র্যাগিংয়ের ঘটনায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিবকে এক বছরের জন্য সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এ সিদ্ধান্ত শিগ্রই বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই আইন বিভাগের ছাত্র রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্যের বিরুদ্ধে মেডিকেলে ভাঙচুর এবং অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। তারপর মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ ও ভূক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৫ জুলাই ওই তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। পরেরদিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন । সেখানে অভিযুক্তরা হলেন একই বিভাগের হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব।