185 বার পঠিত
সরকারের ১৫টি মন্ত্রণালয় শিশুকেন্দ্রিক বাজেট বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশের জন্য শিশুদের জীবনের প্রথম আট বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে শিশুর শিক্ষা ও বিকাশের ভিত্তি রচিত হয়। শিশুর সঠিক প্রারম্ভিক বিকাশ মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ।
একটি মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিশু বান্ধব সরকার শিশুর খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্য-সেবা, সুরক্ষা ও শিক্ষা নিশ্চিত করছে। গর্ভাবস্থা থেকেই মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে।’
শনিবার (১৪ মে) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল পাল্টফর্মে ‘বাংলাদেশ আরলি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নেটয়ার্ক’ (বেন) আয়োজিত জাতীয় ইসিডি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, সুরক্ষা ও সাতার সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা সংবিধানে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেন। দেশ স্বাধীনের পর পরই শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। শিশু মৃত্যু ও মাতৃ মৃত্যু রোধ এবং প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উদ্যোগ ও কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৭ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ২ লাখ ৭৫ হাজার কর্মজীবী মা’র জন্য ল্যাক্টেটিং মা ভাতা কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মঞ্জুর আহমেদ বিশেষ অতিথি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠ করে শোনান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে সরকার গর্ভাবস্থা থেকে মা ও শিশুর পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে ভাতা দিচ্ছে।’ তিনি শিশুর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় সরকারি ও উন্নয়ন সংস্থাকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
এবারের ইসিডি সম্মেলনে শিশুর পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সুরক্ষা বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ছয়টি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সরকারি, জাতিসংঘ, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ গ্রহণ করবে। এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের দেঢ়শতাধিক ইসিডি প্রাকটিশনার ও প্রতিনিধি যোগদান করেন।
এবারের সম্মেলনে প্রতিপাদ্য বিষয় ‘Early Investment matters’ । এসময় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।