41 বার পঠিত
হাতিয়া দ্বীপ কলেজ নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই কলেজটি হাতিয়া দ্বীপের উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। প্রতিষ্ঠারটি স্থানীয় শিক্ষার উন্নয়ন এবং সমাজের সামগ্রিক অগ্রগতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।
হাতিয়া দ্বীপ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৯ সালে। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ এবং তৎকালীন সামাজিক নেতৃবৃন্দের প্রচেষ্টায় এই কলেজের যাত্রা শুরু হয়। হাতিয়া দ্বীপে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার অভাব এবং শিক্ষার্থীদের দূর-দূরান্তে গিয়ে পড়াশোনার অসুবিধা দূর করার লক্ষ্যেই এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহপ্রতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায়, কলেজের মিলনায়তন এ হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের এর উদ্যোগে নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং প্রাণবন্ত পরিবেশের মধ্যে নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানো হয়।
হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের উপ্যধ্যক্ষ ও (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃতোফায়েল হোসেনের সভাপতিত্বতে,কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক কামরুল হাসান ( রানার) উপস্থাপন
অনুষ্ঠানের অতিথি মিল্টন চাকমা, সহকারী কমিশনার ভূমি হাতিয়া, নোয়াখালী
বিষয়ে অতিথি মোহাম্মদ এনামুল হক, সাবেক অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম মহিলা কলেজ ও মোহাম্মদ শারফুউদ্দীন অধ্যক্ষ হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ,কলেজের শিক্ষাক পরিষদের শিক্ষাকদের উপস্থিতে
প্রফেসার মোকারম বিল্লাহ শাহাদাতের এর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে, যেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের জীবন গড়ার মঞ্চ হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সংস্কৃতিক পরিবেশনা নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সংগীত, নৃত্য এবং নাটক পরিবেশিত হয়, যা অনুষ্ঠানকে এক নতুন মাত্রা দেয়। অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য: আমন্ত্রিত অতিথিদের শিক্ষার্থীদের সফলতার পথনির্দেশ দেন।
শরীফুল ইসলাম দুখুর অভিজ্ঞতা বিনিময় প্রবীণ শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং নবীনদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শেষাংশে নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাফল্যের অঙ্গীকারের প্রতীক স্বরূপ ফুল উপহার দিয়ে বরন করে নেন।
নবীন বরণ শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি শিক্ষার্থীদের জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা। শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা এবং তাদের মধ্যে দলগত চেতনা এদিনে স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
নবীন বরণ অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থীরা প্রেরণা নিয়ে নিজেদের শিক্ষাজীবন শুরু করবে এবং ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।