52 বার পঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে ভালো, গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র জায়গা হলো তোমাদের শ্রেণিকক্ষ। তোমার আর কোনো বিচরণক্ষেত্র আনন্দময় হতে পারে, কিন্তু এতো পবিত্র, এতো প্রোডাক্টিভ না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তোমার শ্রেণিকক্ষ। শ্রেণিকক্ষে কখনোই অনুপস্থিত থাকবে না।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি অডিটরিয়ামে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণ এবং এমবিএ ২০২২ ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এসব কথা বলেন ।
অনুষ্ঠানে তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পাঁচ বছর তোমরা সময়ের সবচেয়ে ভালো ব্যবহার কর। তোমার সময়কে তোমরা নষ্ট করো না। সময় গেলে সাধন হবে না। এখানে যদি ভালোভাবে না পড়, ভবিষ্যৎ জীবনকে কিন্তু সুন্দর করতে পারবে না। শিক্ষকদের সাথে থাকবে তোমাদের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক। তোমাদের সবচেয়ে বেশি যোগাযোগ হবে শিক্ষকদের সঙ্গে। তোমার শিক্ষক তোমাকে কখনই মিসগাইড করবে না। আমরা সব কিছুই করি আমাদের ছাত্রদের জন্য। ভালো নাগরিক হও, ভালো মানুষ হও, এই প্রত্যাশা রইল।”
তিনি আরো বলেন, “আজ যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদায় নিচ্ছো এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের হৃদয়ে গ্রোথিত থাকবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে তোমরা জাতির কল্যাণের জন্য কাজ করবে। সৎ থাকবে, কঠোর পরিশ্রম করবে। সততা, সত্যবাদিতা সবসময় যেন তোমাদের মধ্যে থাকে। সৎ না থাকলে তোমরা এদেশের কল্যাণ করতে পারবে না। “
এসময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম মহিউদ্দিন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরীন, প্রফেসর ড. আব্দুল হান্নান শেখ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের এলামনাই এসোসিয়েশন ফাউন্ডিং সেক্রেটারি আবু সায়েম খান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র প্রফেসর ড. মোঃ আলীনূর রহমান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন মোঃ নাজমুল হোসেন ও জাকিয়া পারভিন অন্তু। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন নবীন শিক্ষার্থী মোঃ বায়েজিদ বোস্তামী, বিদায়ী এমবিএ ব্যাচের শিক্ষার্থী গোলাম রব্বানী, আবু সোহান ও স্বর্ণা সাহা।