43 বার পঠিত
রোববার (৩ নভেম্বর) ৩দফা দাবিতে পদযাত্রা শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সোহেল তাজ বলেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। একক কারও নেতৃত্বে হয়নি। অথচ যে দল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই দল ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরেনি।’
‘মহান মুক্তিযুদ্ধ একক নেতৃত্বে হয়নি। অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। শেখ মুজিব জেলে থাকার পর জাতীয় চার নেতার অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ’, যোগ করেন তিনি।জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানিয়ে সাবেক এ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়, একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এই দাবি নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ৪ নেতার অবদান ও আত্মত্যাগ বই পুস্তকে তুলে ধরতে হবে। ২০২৪ সালের আন্দোলনও তুলে ধরতে হবে। কারণ ’২৪-এর আন্দোলন এবং ’৭১- এর মুক্তিযুদ্ধ একই সূত্রে গাঁথা।’
সোহেল তাজের তিনটি দাবি হলো:
১. যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।