249 বার পঠিত
১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনী রাজাপুর থানা আক্রমণ করে। শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। রাতভর যুদ্ধের পর ২৩ নভেম্বর ভোর রাতে পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।
স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে ৯ নম্বর সেক্টরের মধ্যে বৃহত্তর বরিশালের রাজাপুরের আকাশে উড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্থানিরা। আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হয় রাজাপুর থানা, বন্ধ হয় গণহত্যা।
রাজাপুর থানা ছিল বরিশাল সাব-সেক্টরের অধীনে। সাব-সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমর। রাজাপুরের কানুদাসকাঠিতে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরি করেন। রাজাপুর থানায় সম্মুখযুদ্ধ শুরু হলে ক্যাপ্টেন ওমর এ যুদ্ধে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ক্যাপ্টেন ওমর ঝালকাঠি জেলায় একমাত্র বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হওয়া স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে রাজাপুর থানা কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন কেরামত আলী আজাদ। ২৩ নভেম্বর রাজাপুর থানা মুক্ত হওয়ার খবর পেয়ে আশপাশের মুক্তিকামী মানুষ ছুটে এসে থানা দখলে নেয়।
দিনটিকে ঘিরে নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য একমাত্র রাজাপুর প্রেস ক্লাব প্রতিবছর বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে গল্পে গল্পে শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ ব্যানারে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ২৩ নভেম্বর সকাল বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে গল্পে গল্পে শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা হয়।
রাজাপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম নান্নু। এ সময় ঊক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ফারুক সিদ্দীকি। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।