190 বার পঠিত
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগের লকার থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় ৪ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা চলায় গোযেন্দা বিভাগ। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কাস্টমসের আটজনকে। তাদের মধ্যে চারজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও চারজন সিপাহি। তবে সন্দেহের তালিকায় আরও অনেকে রয়েছেন। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মূল সন্দেহভাজন হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম শাহেদ। তিনি ঢাকা কাস্টম হাউসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠজন। স্বর্ণ চুরির ঘটনায় আলোচিত এই মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত বৃহস্পতিবার ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, যারা বদলি হয়েছেন, নতুন এসেছেন, আগে-পরে সেখানে যাতায়াত করেছেন, তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আমরা অনুরোধ করেছি, যারা গুদামে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই। এর পর আটজনকে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের মতো জায়গায় যেখানে কঠোর নিরাপত্তা, সেখান থেকে স্বর্ণ গায়েবের ঘটনা আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। নিয়ম অনুযায়ী যারা বদলি হবেন, তারা নতুনদের কাছে সব কিছু বুঝিয়ে দেবেন। সেখানে সিসিটিভি লাগানো ছিল কিনা, নষ্ট ছিল কিনা– সব দেখা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় নিয়ে আসব।
কাস্টমসের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা জড়িত কিনা, জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কেউ জড়িত থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না।
সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট থানা জানার কথা, কর্তৃপক্ষও জানবে স্বাভাবিক। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা বের করতে পারব বলে আশা করছি। অনুমতি ছাড়া যেখানে যাওয়া যায় না, সেখানে ডিবি কর্মকর্তারা গেলেও অনুমতি লাগে। এই পরিস্থিতিতে ডিবির তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্ত হবে কিনা, জানতে চাইলে হারুন বলেন, আমরা মনে করি, তারা তদন্তে আন্তরিকতা দেখাবেন এবং সহযোগিতা করবেন। ক্যাডার বা নন-ক্যাডার বলে নয়, অপরাধ তো অপরাধই। অপরাধী যে-ই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টম হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজির বেশি স্বর্ণ চুরির ঘটনা ঘটে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। মূলত এসব স্বর্ণ যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করার পর কাস্টম হাউজের গুদামে রাখা হয়েছিল।