128 বার পঠিত
বিএনপি যেভাবে আন্দোলনের নামে লাফালাফি ও বাড়াবাড়ি করছে, তাতে তাদের আন্দোলনের পতনধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির “উদীয়মান ভবিষ্যতের জন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে” তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে গেছে বিএনপির নেতা। আমাদের নেতাকর্মীরা পালানোর রাজনীতি করে না। আমাদের জন্ম এদেশে। প্রয়োজনে মরবো, জেলে যাবো তবুও দেশ ছেড়ে পালাবো না।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, তারা যেভাবে আন্দোলনের নামে লাফালাফি ও বাড়াবাড়ি করছে, তাতে আন্দোলনের পতনধ্বনি শোনা যাচ্ছে। বিএনপি তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেনি। তার দণ্ড স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না জানিয়ে কাদের বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। যারা ১৫ ও ২১ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর ঘটিয়েছে, তাদের মুখে প্রতিহিংসার কথা মানায় না।
আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশেকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তর করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব আমরা। ৫০তম পবিত্র সংবিধান দিবস মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। এখন থেকে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
বৈশ্বিক সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন আমাদের কথা কম বলে কাজ বেশি করতে হবে, আর এখন সবার এই বিপ্লবটাই করতে হবে।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ড. হোসেন মনসুর। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।
সম্মেলনের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন’।
স্বাগত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (ফোরআইআর) মানুষের দৈনন্দিন জীবনে লক্ষণীয় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ফোরআইআর’কে সফলভাবে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের মধ্য দিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে রোল মডেল হয়ে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আমরা গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। ২০টি ক্যাটাগরিতে ইতোমধ্যে ৬৬২টি পেপার ও পোস্টার জমা পড়েছে। শুধু বাংলাদেশের গবেষকরা-ই নন- ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, ভারত, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া, সিংগাপুর থেকেও গবেষকরা শতাধিক পেপার জমা দিয়েছেন।
এদের মধ্যে রয়েছেন সিলিকন ভ্যালির বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ, অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার ম্যাকমাস্টার ও ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকার টেক্সাস আর্লিংটন বিশ্ববিদ্যালয়, বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়, ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের কিউসু বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়, চায়না একাডেমি অব সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা।
এছাড়াও বুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, রুয়েট, ডুয়েট, আইইউটি এবং দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন আইডব্লিউএম, সিইজিআইএস, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড ইত্যাদিতে কাজ করছেন এমন গবেষকরাও সম্মেলনে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রথম দিনের সম্মেলনে প্রথম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।