1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
বাগেরহাটের হাটবাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব  হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ     - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম পাবনায় বাস-অটোভ্যান সংঘর্ষে প্রাণ গেল ভ্যান চালকের গলাচিপায় কচ্ছপ পাচারের সময় ১ নারী আটক খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী   কটিয়াদীতে জাতীয় নাগরিক কমিটির শ্রদ্ধা নিবেদন কিশোরগঞ্জে মহান বিজয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সংবর্ধনা বিজয় দিবসে ইবি পাঠকবন্ধুর শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন জাতীয় স্মৃতিসৌধে -শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা কিশোরগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে  বিএনপির মোমবাতি প্রজ্জ্বলন  কিশোরগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন গত ৫৩ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার করতে পারেনি :সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

বাগেরহাটের হাটবাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব  হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ    

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির
  • প্রকাশ বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

 39 বার পঠিত

বাগেরহাট:বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ সহ নয়টি উপজেলার হাট বাজার গুলোতে পরিবেশ বিধ্বংসী নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব হয়ে গেছে সর্বত্রই এখন নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব।এতে হুমকির মুখে পড়েছে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ।

অবাধে বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে এই নিষিদ্ধ পলিথিন। সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পন্য সামগ্রীর সাথে এই ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। ফলে রাস্তাঘাট নদী-নালা ড্রেন সবকিছুইতেই পলিথিনের আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পলিথিনের শপিং ব্যাগের ক্ষতিকারক বিষয় সমূহ বিবেচনা করে ২০০২ সালের ৮ এপ্রিল সরকারি এক সিদ্ধান্তে সকল প্রকার পলিথিনের উৎপাদন ,আমদানি ,বাজারজাতকরণ প্রদর্শন ,মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য পরিবহন ও ব্যবহার সম্পুর্ন্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

এই প্রজ্ঞাপন জারির পর কিছুদিন পলিথিনের ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ ছিল। কিন্তু এই প্রজ্ঞাপন জারির পরও আইনী প্রয়োগ না থাকায় মোরেলগঞ্জ পৌরসদর বাজারসহ উপজেলার সর্বত্রই প্রকাশ্যে   পলিথিনের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার  ইউনিয়নগুলোতে ছোট বড় মিলিয়ে অর্ধ শতাধিক হাটবাজার রয়েছে।হাট বাজার ছাড়াও পাড়া মহল্লা এবং রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা দোকান সমুহে পণ্য সামগ্রী কেনা-বেচার সাথে পলিথিনের ব্যাগ দেওয়ায় এর ব্যবহার বেড়েই চলছে। অনায়াসে এসব নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার করা হলেও নেই কোন প্রশাসনিক তৎপরতা। মোরেলগঞ্জ পৌর সদর বাজার, সন্ন্যাসী, খাউলিয়া, পল্লীমঙ্গল, গুলিশাখালী, আমতলী, তেতুলবাড়িয়া, ফুলহাতা, বহরবুনিয়া, পাঁচগাও, সোনাখালী, কালিকা বাড়ি নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জের হাটবাজার ও ছোট-বড় স্থানে হরহামেশায় বিক্রি হচ্ছে এসব নিষিদ্ধ পলিথিন।এতে মাটি পানি ও পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে । তবে স্থল মাইনের চেয়ে ভয়াবহ। মোরেলগঞ্জবাজারের কাচামাল ব্যবসায়ী জাহাংগীর হোসেন ফরাজি জানান, পলিথিন তুলনামূলক সস্তা ও সহজলভ্য। দামেও কম। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরি ব্যাগ বাজারজাত করলে পলিথিনের ভয়াবহতা থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যেত।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি শহিদুল হক বাবুল বলেন, বর্তমানে মোরেলগঞ্জের  খোলা বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও কাঠোর আইন থাকার পরও পলিথিনের ব্যবহার কমছে না। এ জন্য সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসনকেও আরো কঠোর হতে হবে।

মোরেলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি এস.এম.  সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, পলিথিন পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। এটি মানুষ ও পরিবেশের জন্য দুর্যোগ ও দুর্ভোগ বয়ে আনে।  প্লাস্টিকের জীবনচক্রের প্রথম ধাপ হচ্ছে জীবাশ্ম জালানি, অপরিশোধিত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস নিষ্কাশন। এই নিষ্কাশন প্রক্রিয়ার ফলে বায়ু ও পানি দূষণ হচ্ছে এবং নির্গত গ্রিনহাউজ গ্যাসের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে।
প্লাস্টিক বর্জ্যরে ফলে দূষিত হচ্ছে মাটি এবং এর ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের কারণে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও উদ্ভিদ। তা ছাড়া প্লাস্টিক দূষণের কারণে মাটির উর্বরতা শক্তিও নষ্ট হচ্ছে। নিষিদ্ধ পলিথিন বিশেষ করে নিত্য ব্যবহার্য পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে এখনই যদি কোনো কার্যকর ভূমিক নেয়া না হয় তাহলে ভবিষ্যতে পরিবেশের ওপর যে বিপজ্জনক পরিনতি নেমে আসবে তা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে।

এ বিষয় মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, পলিথিন ব্যবহারের ফলে মাটিতে পঁচে না এবং এতে মাটির উর্বর শক্তি কমিয়ে ফেলে।

একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, এখন আর ক্রেতারা ব্যাগ নিয়ে বাজারে আসে না তাই বেচাকেনার স্বার্থে পলিথিনের ব্যাগ দিতে হচ্ছে।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরা জানান, সরকারিভাবে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সেই সাথে পলিথিনের ভয়াবহতা সম্পর্কে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
পরিবেশ অধিদফতরের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন বাজারজাত ও ব্যবহার শুরু হয়। পরে ২০০২ সালের ১ মার্চ বাংলাদেশ সরকার পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। আইন অমান্যকারীর জন্য ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। বাজারজাতকারীকে ছয় মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park