18 বার পঠিত
পূর্নিমার জো’য়ের প্রভাবে কলাপাড়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে আন্ধারমানিক, রাবনাবাদ ও তেঁতুলিয়া সহ সকল নদ-নদীর পানি। তাই গত দুইদিন ধরে দু’দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েছে বেড়িবাঁধের বাইরের বসবাসকারীরা।
এদিকে পূর্নিমার জো’য়ের কারেন কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে নির্দিষ্ট স্থান অতিক্রম করায় দুর্ভোগে পড়েছে কুয়াকাটা সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন উপলক্ষে আগত হাজারো পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন।
ঢাকা থেকে আসা ফিরোজ বলেন,ছুটি কেন্দ্র করে কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি তবে যে ঢেউ আশা করিনি তার চেয়েও বড় বড় ঢেউ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি।
পর্যটক বিলকিস জাহান, সমুদ্রের সৌন্দর্য তখনই লাগে যখন বড় বড় ঢেউ কিনারায় আছড়ে পড়ে,আমি ঢেউ দেখে লোভ সামলাতে না পেরে গোসল করতে নেমে গিয়েছি,এবং বড় বড় ঢেউয়ের সাথে আনন্দে মেতে উঠছি।
কলাপাড়া পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিউটি বেগম বলেন, আমাদের ঘর আন্ধারমানিক নদী সংলগ্ন। গত দুইদিন ধরে জোয়ারে সময় ঘরের মধ্যেও পানি ঢুকে। ঘরের সামনে পানিতে থই থই করছে। যার কারনে ভাটা হওয়ার আগ পর্যন্ত ঘরেই থাকতে হচ্ছে। বাইরে নামতে পারছিনা। এছাড়া পানি যখন বাড়ে তখন আমাদের রান্না বান্নাও বন্ধ থাকে।
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ছাতা বেঞ্চ ব্যবসায়ী নুর হোসেন বলেন, গত দুইদিন ধরে অনেক পানি বেড়েছে। যার কারনে জোয়ারের সময় আমাদের ছাতা বেঞ্চ সৈকত থেকে সরিয়ে রাখতে হয়েছে। এসময় আমাদের বেঞ্চ ভাড়া দেওয়া বন্ধ থাকে। এছাড়া এখানের যারা ডাব বিক্রেতা, আইসক্রিম বিক্রেতা ও আচার বিক্রেতা সহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রয়েছে জোয়ারের সময় তাদের বিক্রি বন্ধ থাকে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার জাহান বলেন, সাগরে যে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিলো, সেটি বিদায় নিয়েছে। তবে পূর্নিমার জোয়ের কারনে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্নিমা শেষ হলে নদ-নদীর পানির উচ্চতা কমে যাবে।