163 বার পঠিত
পাবনা প্রতিনিধি>পাবনার সুজানগর উপজেলায় জাহাঙ্গীর আলম (৬৭) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীরের ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার কিছু পরে সুজানগর উপজেলার তাতিবন্দ ইউনিয়নের বনগ্রাম বাজারের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাসান খন্দকারের ছেলে। তিনি ২০২১ সালে পাবনা সদর থানা থেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
আহতরা হলেন-নিহতের ভাই মতি খন্দকার, একই এলাকার আরফান মোল্লার ছেলে আয়েন উদ্দিন ও নজিম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আব্দুর রহিম। বাকি আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
নিহতের ছেলে জুবায়ের খন্দকারের দাবি, ‘হামলাকারীরা চরমপন্থি দলের সদস্য। অবসর গ্রহণের পর এলাকার জুয়া খেলা নিয়ে প্রতিবাদ করে ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। পরে তিনি পেনশনের টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি করতে গেলে চরমপন্থিরা চাঁদা দাবি করে।
জুয়া খেলা ও চাঁদাবাজি নিয়েই এলাকার চরমপন্থি হিসেবে পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল।
সেই বিরোধের জেরেই সোমবার ২২ (আগস্ট) বেলা ১১টার কিছু পরে তারা একযোগে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে ট্যাটা, বররা, হাসিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
হামলায় জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলেই নিহত হোন এবং মতি খন্দকারসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতি খন্দকারের অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৫ বছর পূর্বে তাদের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল।
সেই শত্রুতার জের ধরেই আজকের মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এখানে চরমপন্থির কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’