86 বার পঠিত
ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের (বেরোবি) শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যায়িত এবং ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান কে কটুক্তি করার প্রতিবাদে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির স্থায়ী বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে বেরোবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (০৭ অক্টোবর) বিকেল ২ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবু সাঈদ গেইটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাপসী তাবাসসুম উর্মির স্থায়ী বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানায়।
উপস্থিতি বক্তৃতায় শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন বলেন, “একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে আমার ভাই আবু সাঈদকে নিয়ে কটুক্তি করতে পারে? আমি মনে করি ঐ কর্মকর্তা স্বৈরাচারের দোসর, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির স্থায়ী বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং ভবিষ্যতে আর কেউ যেন আবু সাঈদকে নিয়ে কটুক্তি করতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।”
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বেরোবি বাংলা বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ সুমন বলেন, “আবু সাঈদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এই স্বাধীন দেশে এমন মন্তব্য মেনে নেওয়ার মতো নয়, স্বৈরাচারের দোসর এখনো সরকারি আমলাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট দাবি এই দোসরদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনতে হবে, না হয় আবু সাঈদের আত্মা শান্তি পাবে না।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৫ অক্টোবর) লালমনিরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যায়িত এবং ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান কে কটুক্তি করে একটি পোস্ট করেন। এর পরপরই সমালোচনার মুখে তাকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করে সরকার।