122 বার পঠিত
চিনির আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই পণ্যটির আমদানি শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে।
আমদানি করা অপরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে প্রতি টনে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং এবং পরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে প্রতি টনে ২ হাজার টাকা আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানা গেছে। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে। ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত চিনির আমদানি শুল্ক ছাড়ের এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, অপরিশোধিত চিনির কাস্টমস শুল্ক আগে ছিল ৩ হাজার টাকা এবং অন্যান্য চিনির শুল্ক ছিল ৬ হাজার টাকা।
বর্তমানে চিনি আমদানিকারকদের ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক ও ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ছাড়াও প্রতি টন চিনিতে নির্দিষ্ট ৩ হাজার টাকা কর দিতে হয়। সেটা কমিয়ে এবার ১ হাজার ৫০০ টাকা করা হলো। সব মিলিয়ে প্রতি কেজি চিনি ভোক্তার হাতে যাওয়া পর্যন্ত মোট কর আরোপিত হয় ৬০ শতাংশের ওপর, টাকার অংকে যা ৪০ থেকে ৪২ টাকা।
বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি চিনি ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির এই উচ্চ দামের রাশ টানতে এ বছর সরকার বেশ কয়েকবার শুল্ক ছাড়সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু চিনির দাম প্রত্যাশিত পর্যায়ে এখনও আসেনি।
দেশে চাহিদার তুলনায় চিনি উৎপাদিত হয় কমবেশি ১ শতাংশ। এখন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় কমবেশি ৩০ হাজার টন। আমদানি হয় ২২ থেকে ২৪ লাখ টন। মূলত অপরিশোধিত আকারে চিনি আমদানি হয় বেশি। অপরিশোধিত চিনি বা কাঁচামাল এনে প্রক্রিয়াজাত করে চিনি উৎপাদন করে পরিশোধন কারখানাগুলো। আর ওষুধ কোম্পানি ছাড়া ২৫ থেকে ২৭টি খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান প্রস্তুতকৃত চিনি আমদানি করে।