132 বার পঠিত
ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা ভবনে জেলা শিক্ষা অফিসের অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালিত হয় তিনতলা ভবনের দ্বোতলায়। নীচতলায় রয়েছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের দপ্তর। ভবনের মধ্যে ফাকা রেখে চারিদিকে বর্গাকৃতির ভবনটি নির্মাণ করা হয়। মাঝের ফাঁকা জায়গায় সৌন্দর্য বর্ধন ও অক্সিজেন সরবরাহ পেতে চারটি পাম্পট্রি চারা রোপণ করা হয়েছিলো। ভবনটি নির্মাণের পরে প্রায় ২০বছর বয়সী গাছচারটিও বেশ বড়ো হয়েছিলো। কিন্তু শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা কোন ধরনের অফিসিয়াল প্রক্রিয়া না মেনেই গাছ চারটি কেটে ফেলে। সেখানে এমনভাবে ফ্লোর টাইল্স লাগানো হয়েছে যা দেখলে কবরই মনে হচ্ছে। অনেকে আবার ট্রোল করে শিক্ষা মাজার/শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর মাজার/ শিক্ষা অফিসের মাজারসহ নানান বিশেষণ দিচ্ছেন। শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জেলা শিক্ষা ভবনের মধ্যে চারটি পাম্প গাছ ছিলো। যা দেখতে খুবই ভালো লাগতো। কিন্তু কেটে ফেলে সেখানে এমনভাবে টাইলস লাগিয়েছে যার কোন প্রয়োজনই ওখানে ছিলো না। অনেকে বলেন, এখন তো নিয়ন্ত্রণকারী কোন দলীয় সরকার নাই। সেই সুযোগে কারো কাছে কিছু না জানিয়ে ইচ্ছেমতো কাজ করছে। হয়তো এখান থেকে বড় কোন বাজেট নিয়ে সামান্য খরচ করে ভাউচার দিয়ে টাকা আত্মসাত করছেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার সুনিল চন্দ্র সেন জানান, পুজোর ছুটিতে আমি বাড়িতে যাওয়ার ফাকে সৃজিত চারটি পাম্প গাছ কেটে ফেলেছে। সেখানে ফ্লোর টাইল্স লাগিয়েছে। জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
এবিষয়ে একাধিক প্রশ্ন করলে ঝালকাঠি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান, ছোট গাছ কেটেছি তাতেও সভা ডেকে গাছ কাটার পারমিশন নিতে হবে? ভিতরে যা করেছি সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যই করেছি। আপনি যেভাবে পারেন লিখে দেন বলেও দাম্ভিকতা প্রকাশ করে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করেন।