116 বার পঠিত
মতলব উত্তর উপজেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা মিলাদ ও কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। ১৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেংগারচর পৌর আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের উদ্যগে ছেংগারচর বিশ্ববিদ্যাল মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব , বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।তিনি আরো বলেন, ভারত,শ্রীলঙ্কা প জাপানেও রাজনীতি প্রভাবের কারনে রাস্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছিল।
কিন্তু তারা শুধু একজনকেই হত্যা করেছে। আর আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনাহ ১৬ জনকে হত্যা করে। যা বাংলার ইতিহাসে এক কলঙ্কিত ঘটনা।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচকর বক্তব্য দেন – চাঁদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মন্জুর আহম্মেদ, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুমের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রতন ফরাজির পরিচালনায় আরো বক্তব্য,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম লস্কর, শহীদ উল্লাহ প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা আনিছুর রহমান, আওয়ামীলীগের উপ কমিটির সদস্য শরীফ উল্লাহ সরকার, কাজী মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক মিজানুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আতিকুর রহমান, দেন- উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান মো. জহির,,গুলশান থানা যুবলীগের সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি রহমত উল্লাহ চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ইয়ার হোসেন, ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক এ্যাড. মহসিন মিয়া মানিক, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব এ্যাড. আক্তারুজ্জামান, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন, পৌর যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক জামান সরকার,উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবু হানিফ অভি, পৌর ছাত্রলীগ নেতা অপু প্রমুখ।