337 বার পঠিত
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি> বর্ষা মানেই খালে বিলে থৈ থৈ পানি।গেল কদিন ধরে টানা বৃষ্টি সাথে উজানের ঢলে টইটুম্বর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন বিল আর জলাশয় । নতুন পানিতে ছুটে আসে নানা প্রজাতির মাছ।এ পানিতে মাছ ধরার ব্যস্ততাও বেড়ে যায় স্থানীয়দের । তাই কদর বেড়েছে মাছ ধরার নানা ফাঁদ বা উপকরণের ।
উপজেলার স্থানীয়দের কাছে পরিচিত বাঁশ দিয়ে তৈরি টেপাই ,দারকি, জলঙ্গা, খলাই,পলাই এসব মাছ ধরার ফাঁদ তৈরি ও বিকিকিনি জমে উঠেছে।সরেজমিনে দেখা য়ায়,সদর ইউপির কেশবা যুকিপাড়া,রাজিব,মুশা, মাগুড়াসহ বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্াঁশকাটিতে নিপুণ হাতের কারিগররা এসব ফাঁদ তৈরি ও বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন । সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত চলে পরিবার গুলোর কর্মযক্ত।
জমি-জমা তেমন না থাকায় হরেক পদের ফাঁদ তৈরি ও বিক্রিতে চলে শতাধিক পরিবারের জীবন-জীবিকা।কিশোরগঞ্জ ও পার্শবর্তী তারাগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়,বাঁশপল্লীর কারিগররা হাটে নিয়ে এসেছেন টেপাই,দারকি,খলাই,পলাই।আর বিভিন্ন দুরপ্রান্তর থেকে আসা নানা শ্রেণিপেশার মানুষ এসব উপকরণ কেনান জন্য ভিড় করছেন।দাম যাই হোক নতুন পানিতে মাছ ধরার আনন্দে যার যার মত কিনে নিচ্ছেন।
হাটে বিক্রি করতে আসা দক্ষিন রাজিব বাকোরি পাড়া গ্রামের কারিগর ফেদ্দুস জানান, পরিবারের সবাই মিলে এক সপ্তাহ ধরে টেপাই,দারকি,জলঙ্গা,পলাই তৈরি করে মজুদ করা হয়।এরপর স্থানীয় শনি-বুধবার বসা সাপ্তাহিক হাট ছাড়াও শুক্র-সোমবার তারাগঞ্জ হাটে বিক্রি করা হয়। ১টি বাঁশ ২০০টাকা ক্রয় করে ৩টি টেপাই তেরি করা যায়।
আকার ভেদে একেকটি বিক্রি হয় ৩৫০ থেকে ৪০০টাকা। তবে পরিশ্রমের তুলনায় দাম একটু কম। পরিশ্রম যাই হোক ক্রেতার চাহিদা থেকে বিক্রি করে ভালই লাভ হয়। মাগুড়া কৈল্লাবেচা পাড়া গ্রামের কারিগর মজিবার বলেন,দেশীয় মাছের স্বাদ নিতে গ্রামের খালে বিলে উন্মুক্ত জলাশয়ে এ ফাঁদ পেতে মাছ ধরেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
তাই মাছ ধরার ফাঁদ বেচা কেনার ধুম পড়েছে। তৈরি করা ভাল মানের একেকটি টেপাই ৪০০- ৪৮০টাকা,জলঙ্গা ২৫০-৩০০টাকা, দারকি ২০০-২৫০টাকা ,পলাই ১৫০-২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দামে আপত্তি থাকলেও বেচা বিক্রি জমে উঠায় খুশি।
হাটে কিনতে আসা চাঁদখান মাঝা পাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিন বলেন,প্রতি বছর শখের বসে ৩-৪টি করে টেপাই,দারকি ক্রয় করি বাড়ির পাশে খালে বিলে পুটি,দারকা,খৈইলসা,চিংড়ি প্রভুতি মাছ ধরার জন্য।এতে বাজার থেকে মাছ কিনতে হয়না ।এ দেশীয় জাতের মাছের যেমন পুষ্টি তেমনি ঢেকুর তোলা স্বাদ।