66 বার পঠিত
চালকবিহীন সামরিক হেলিকপ্টার আবিস্কারক কটিয়াদীর কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার ড. হুমায়ুন কবিরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে৷ কটিয়াদী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ২৮ মে রাতে কটিয়াদী রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
কটিয়াদী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রফিকুল হায়দার টিটুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কটিয়াদীর কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন তার সহধর্মিণী ফরিদা কবির। শুরুতেই অতিথিদের ফুল দিয়ে সংবর্ধিত করেন ইউনিটির সদস্যরা৷
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞানী ড. হুমায়ুন কবির বলেন, নিজের এলাকায় এসে ভালো লাগছে। মানুষের মেধাকে সঠিক পথে কাজে লাগালে সে অবশ্যই সফল হবে। একটি মানুষ কোটি-কোটি মানুষের উপকারে আসতে পারে ৷ সুশিক্ষিত হয়ে দেশের, দশের, সারা পৃথিবীর উপকারে লাগতে পারে। কষ্টকে জয় করেই আমি আজ এই অবস্থানে৷
তিনি আরো বলেন, বিমান তৈরি অনেক ব্যায় বহুল। উন্নত দেশ ছাড়া এটি অনেক দুরূহ ও কঠিন কাজ। আমার তৈরি কয়েকটি বিমান আমেরিকার সরকার বিক্রি করছে৷ বাংলাদেশ কয়েকটি বিমান কিনেছে। সরাসরি না হলেও বিভিন্ন ভাবে এর সুফল পাচ্ছে বিশ্বের সব মানুষ।
বিজ্ঞানী ড. হুমায়ুন কবির আরো বলেন, দেশের জন্য কাজ করার ইচ্ছে মনে সবসময়ই৷ আমাদের দেশে এমন ব্যাবস্থা থাকলে তো অবশ্যই সম্ভব হতো। স্বপ্ন দেখি আগামী প্রজন্ম হয়তো একদিন ভালো কিছু করতে পারবে। আমি আমার পরামর্শ শিক্ষার্থীদের সাথে শেয়ার করবো। তাদের অনুপ্রাণিত করবো।ডঃ হুমায়ুন কবির শিক্ষাবৃত্তি চালু করার ব্যাপারেও আশ্বস্ত করেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, কটিয়াদী সরকারি পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম মাহফুজ। বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ মোস্তফা, কটিয়াদী ইতিহাস গ্রন্থের লেখক সারোয়ার হোসেন শাহীন৷ সাংবাদিক দ্রব রঞ্জন দাস প্রমূখ।