জবি প্রতিনিধি>জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, আমরা যদি আমাদের বেতনের কথা বলি। একজন প্রফেসরের যে বেতন দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ছিল সেটা ১০০ গুণ বেড়েছে। কারণ আমি যখন টিচার হিসেবে জয়েন করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ৭৫০ টাকা স্কেলে মোট ১১০০ টাকা বেতন পেতাম। আমার বেতন এখন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতন। সেভাবেই কিন্তু আমাদের চালের দাম বড়জোর ৫ গুন বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা উন্নয়ন করছি। পরিসংখ্যান দিয়েই অনেক কিছু বলা যায়। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ আছি। পরিসংখ্যানের বাইরে গিয়ে আমরা সবকিছুই নিজেরাই দেখতে পাচ্ছি। আমরা সারাদেশের মানুষদের কাপড় পড়াই, গার্মেন্টস শিল্পে সেরকম উন্নয়ন আমাদের। কৃষিতেও আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন চোখে পড়ার মত। শিক্ষার ক্ষেত্রেও আমরা পুরুষ নারীর সমতা নিয়ে আসছি শিক্ষাতে।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, এখানে মুক্তি শব্দটা অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭১ সালের ৭ ই মার্চ যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেটা কিন্তু অসম্পূর্ণ ছিল না। তিনি কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণায় দিয়েছিলেন। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। পুরো ভাষণটিই এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এই পুরো ভাষণের মধ্যে উনি স্বাধীনতা শব্দটি একবার ব্যবহার করেছেন। আর মুক্তি শব্দ টা ব্যবহার করেছেন পাচবার। কিসের মুক্তি?
‘মুক্তিটা ছিল, শোষন মুক্তি, সামাজিক যে সমস্যাগুলো আছে, এই যে ধর্মান্ধতা-এসব কিছু থেকে মুক্তির কথা বলেছেন।’
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে ‘মুক্তিসংগ্রামের সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজিত হয়।
এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন কলামিস্ট ও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড মিল্টন বিশ্বাস।
সেমিনারে বাংলাদেশ প্রগতিশীল ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারের মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন বংগবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড শারফুদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড কামালউদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ সভাপতি অধ্যাপক ড রাশিদ আসকারী, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্প্রতী বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড মামুন আল মাহতাব।