58 বার পঠিত
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শিক্ষা ও গবেষণা প্রদর্শনী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে গবেষণায় উদ্ভাবনের সংকট স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) প্রদর্শনীর স্টল ঘুরে দেখা যায়, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ ছাড়া বেশিরভাগ স্টলে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্ভাবন দেখা যায়নি। কিছু বিভাগ শুধুমাত্র শিক্ষকদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করছে, যা প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য থেকে অনেকটাই বিচ্যুত। এমনকি ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর স্টলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা গবেষণা-পত্র বিক্রির দৃশ্যও চোখে পড়ে।
তাছাড়াও অন্যান্য বিভাগের স্টল ঘুরে দেখা যায় বই বিক্রি, গান বাজানো, পিঠা বিক্রি-সহ নানা বিনোদনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে শিক্ষার্থীরা।
দ্বিতীয় দিনে শিক্ষা ও গবেষণা প্রদর্শনী নজরে পড়ার মতো ছিল সিএসই ও ইইই বিভাগের স্টলে। সিএসই বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাহিন জানান, তারা উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার প্রদর্শন করছেন। এ বিভাগের স্টলে ‘কুইক সার্চ টু কোরআন’ নামে একটি সফটওয়্যার এবং রোবোটিক্সসহ বেশ কিছু উদ্ভাবনী প্রযুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ইইই বিভাগের স্টলে বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়েছে। এ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা কয়েকটি প্রযুক্তি উপস্থাপন করেছি। যার মাধ্যমে অফিস বা ক্লাসরুমে কেউ না থাকলে বিদ্যুৎ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে এবং উপস্থিতি শনাক্ত হলে আবার চালু হবে। এটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সহায়ক হবে। কোন স্থানে অনাকাঙ্খিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে অটোমেটিক্যালি আগুন নেভানোর কাজ করবে রোবট। তিনি আরো বলেন, ” বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই গবেষণা বরাদ্দ বাড়াতে হবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে বলেন, “৪৬ বছরের পথচলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনেক অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরো বেগবান করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ধরে রাখতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”