139 বার পঠিত
দূর্ঘটনা কবলিত এলাকার সর্বশেষ,
”রংপুর তারাগঞ্জের রোডের শলেয়াসায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনা স্থলে পাঁচ জন ও হাসপাতালে ৫জন মোট ৯জনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন।
আহতদের উদ্ধার করে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। নিহতদের দাফন কাফনের টাকা দিলেন জেলা প্রশাসক।”
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার পরে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে তারাগঞ্জের শলেয়াসাহ বাজারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধার কাজে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ করেছে। দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহত ও আহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে চারপাশ।
স্থানীয় লোক জামিল হোসেনের মাধ্যমে জানে যায় রাত থেকে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যেই রাত সোয়া ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের শলেয়াস বাজারের কাছে যাত্রীবাহী জোয়ানা পরিবহনের সঙ্গে ইসলাম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা বৃষ্টিতে ভিজে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোর্শেদ জানান, ঘটনা স্থলে ও হাসপাতালে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন, জোয়ানা পরিবহনের চালকের সহকারী রংপুরের তারাগঞ্জের ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৩৫), ইসলাম পরিবহনের চালকের সহকারী লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের নয়ন ইসলাম (২৬), তারাগঞ্জের সয়ার কাজীপাড়া গ্রামের পল্লিচিকিৎসক আনিছুর রহমান (৪৮), গাইবান্ধার উত্তর কিদারী এলাকার সাদেক আলী (৫৬), নীলফামারীর সৈয়দপুরের কুন্দল পূর্বপাড়া গ্রামের মহসিন হোসেন সাগর (৪২) ও কামারপুকুর এলাকার জুয়েল হোসেন (২৭)।
সকালে আহতদের দেখতে রংপুর মেডিকেলে যান জেলা প্রশাসক মোঃ আসিব আহসান। এ সময় সেখানে তিনি আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন। পরে নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার করে টাকা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।