139 বার পঠিত
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি> হবিগঞ্জ শহরে চলছে পোনা মাছ ধরা ও বিক্রির মহোৎসব দেখার যেন কেউ নেই জৈষ্ঠ্য মাসে উজানের পাহাড়ী অঞ্চলের ঢল ও গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষনের পাশা পাশি সিলেট ও সুনামগঞ্জে সৃষ্ট বন্যায় কুশিয়ারা,কালনী,ও খোয়াই নদীর পানি বেড়ে হবিগঞ্জেও এবার বন্যার পানিতে খাল-বিল, নদী- নালা ও ছোট বড় হাওড় সহ অধিকাংশ এলাকা এখন বন্যার পানিতে ভরপুর।
চতুর্দিকে এখন শুধু পানি আর পানি বন্যার পানিতে খাল-বিল, নদী-নালায় চড়ে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছের পোনা কিছু দিনের মধ্যেই মাছ গুলো বড় হবে সারাদেশে মানুষের মাছের চাহিদা পূরণ করবে।
কিন্তু ওই পানিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ডিম ফুটতে না ফুটতেই এক শ্রেনীর অর্থলোভী মৎস্য শিকারী বেড় ও সুতি জাল দিয়ে অবাধে পোনামাছ নিধন করছে।
সারারাত কারেন্ট জাল,ফিলোইন,লোঙ্গা ও অন্যান্য ছোট নেটের জাল দিয়ে রেনুপোনা ছেকে তুলে বাজারে বিক্রি করছে প্রকাশ্যে সরেজমিনে দেখা যায় হবিগঞ্জের শায়েস্তানগর সহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে টাকি,শোল,বাইম,গুতুম সহ বিভিন্ন প্রজাতির এসব পোনা মাছ, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩শ থেকে ৫শ টাকা দামে।
বুধবার (২২জুন) হবিগঞ্জ শহরতলীর দিঘলবাগ বাজারে দেখা যায় প্রকাশ্যে এক ব্যাক্তি বিক্রি করছেন প্রায় বিশ কেজি পরিমান গুতুম মাছের পোনা, দেশীয় প্রজাতির ভিন্ন স্বাদের এ মাছ গুলো বর্তমানে খুবই কম দেখা যায় গত দুই যুগ আগেও দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ দেখা যেত অহরহ, কিন্তু আধুনিকতার যুগে পোনামাছ মারার বিভিন্ন উপকর বের হয়ে দেশি প্রজাতির মাছগুলো এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে স্হানীয়রা অনেকেই জানেন না এসব মাছ বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
এসব পোনা মাছ বিক্রি সম্পর্কে জনসচেতনতার পাশাপাশি অভিযান চালানোর ব্যাপারে মতামত পেশ করছেন সচেতন মহল মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০-এ বলা হয়েছে, নির্বিচারে পোনা মাছ ও প্রজননক্ষম মাছ নিধন মৎস্য সম্পদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়। চাষের উদ্দেশ্য ব্যতীত কেউ প্রতিবছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর (আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি থেকে পৌষ মাসের মাঝামাঝি) পর্যন্ত ২৩ সেন্টিমিটারের (৯ ইঞ্চি) নিচে থাকা বোয়াল, কাতলা, রুই, মৃগেল, কালবাউশ ঘনিয়াসহ দেশি প্রজাতির মাছ নিধন করতে পারবে না।
চাষের উদ্দেশ্যে মাছ ধরতেও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে অন্যদিকে মাছ ধরার ক্ষেত্রে ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বা তার চেয়ে কম ফাঁসবিশিষ্ট জাল ব্যবহার করা যাবে না আইন অমান্য করলে ১ মাস হতে সর্বোচ্চ ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান থাকলেও হবিগঞ্জে কোথাও দেখা যায়নি প্রশাসনের কোন অভিযান। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।