264 বার পঠিত
পটুয়াখালী সংবাদদাতা>নামে মাত্র সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ বাস্তবে পুরোটাই ভিন্ন অর্থাভাবে পটুয়াখালীর ডেইরী ব্যবসায়ী মহিলা উদ্যোক্তা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। প্রায় ২ বছর আগে পটুয়াখালী উপজেলার মরিচবুনিয়া গ্রামের মো: নুরুজ্জামানের স্ত্রী ইতি বেগম যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি ডেইরি খামার করেন। খামারটি তার পরিবারের সদস্যরা মিলে দেখাশোনা করছেন।
খামারে ফ্রিজিয়াম জাতের ১৪টি গরু লালন পালন করা হচ্ছে। এদের মধ্যে ৪টি গরুতে ১৪ কেজির মত দুধ দেয়এ বিষয়ে ইতি বেগম জানান, আমি অনেক কষ্ট করে আত্মীয় স্বজনের নিকট থেকে ধারদেনা করে লাভের আশায় অতি কষ্টে ডেইরি ফার্ম গড়ে তুলেছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে দুধের দাম কমে গেছে অপরদিকে গরুর খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে।
করোনার প্রভাবে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছি। ডেইরী ফার্মের জন্য সরকারী বেসরকারী কোন অনুদান, প্রনোদনা বা ব্যাংক লোন পাচ্ছি না। পটুয়াখালী কর্মসংস্থান ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক ও রুপালী ব্যাংকে লোনের জন্য দীর্ঘদিন ধর্না ধরেও কোন সহায়তা পাই নাই। ব্যাংকগুলো আমাদের লোন দিতে চাচ্ছে না। তারা বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের ঘুরিয়ে হয়রানি করছে।
আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারী সহায়তা ছাড়া আমাদের বেঁচে থাকার কোন উপায় নাই।এ বিষয়ে কর্মসংস্থান ব্যাংকের পটুয়াখালী শাখার ব্যবস্থাপক জানান জমির মৌজার দামের অর্ধেক পরিমাণ লোন পাবেন তবে জমি ব্যাংকের নামে মর্গজ দিতে হবে।
রুপালী ব্যাংকের পটুয়াখালী শাখা ব্যবস্থাপকজানান জমির মৌজার দামের অর্ধেক পরিমাণ লোন পাবেন তবে জমি ব্যাংকের নামে মর্গজ দিতে হবে। কিন্তু খামাড়ীর জমি না থাকলে কি সে ব্যাংক থেকে কোন সহযোগীতা পাবেনা সরকারের কাছে জানতে চায় খামাড়ীর ব্যবসায়ীরা।