1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
  3. alaminjhalakati@gmail.com : Al-Amin Khan : Al-Amin Khan
হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের জন্য ডাইভার্সিটি পলিসিকে দায়ী করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প - দৈনিক দেশেরকথা
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর আগুন আইএলওর মানদণ্ডে উন্নীত করতে শ্রম আইনের সংস্কার হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা ব্রহ্মপুত্র নদী খননে ধীর গতি ফেরি চলাচল বন্ধ জনগণের দূর্ভোগ চরমে হাসিনার দাম্ভিকতাই পতন, শহীদ স্মারক মোড়ক উন্মোচনে গোলাম পরওয়ার পটুয়াখালী গলাচিপায় তারুন্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান  হাসিনার পালানো কে, ভারতে চলে যান, শব্দ ব্যবহার করায়, বিসিবির প্রতি প্রেস সচিবের ক্ষোভ উলিপুরের ডাঃ আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশনের সেবা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত  শেষবারের মতো সাদপন্থিরা টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার অনুমতি পেয়েছেন পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিলের দাবিতের উত্তাল জাবি “মার্ক্সের শ্রেণি সংগ্রাম তত্ত্ব ও চা শ্রমিকদের জীবন”

হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষের জন্য ডাইভার্সিটি পলিসিকে দায়ী করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশ শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫
ডোনাল্ড ট্রাম্প

 25 বার পঠিত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছেন, ওয়াশিংটনে হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) কর্মক্ষেত্রে ডাইভার্সিটি পলিসিই দায়ী। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। খবর রয়টার্সের। এর আগে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রেগান জাতীয় বিমানবন্দরের কাছে অবতরণের প্রস্তুতি নেওয়া একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। এতে উড়োজাহাজে থাকা ৬৪ জন এবং হেলিকপ্টারে থাকা তিনজন সেনা নিহত হন। এটি গত ২০ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা।

এখনও এ দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি এবং ফেডারেল কর্মক্ষেত্রে ডাইভার্সিটি পলিসি বিমান নিরাপত্তার ওপর কোনো প্রভাব ফেলেছে—এমন কোনো প্রমাণও নেই। তবে ট্রাম্প এই ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে এফএএ-এর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এফএএ-এর ডাইভার্সিটি পলিসির মধ্যে রয়েছে বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানসিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের নিয়োগের পরিকল্পনা। এটা অবিশ্বাস্য।’

একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, কোনো তদন্ত ছাড়াই তিনি কীভাবে দুর্ঘটনার জন্য ডাইভার্সিটি পলিসিকে দায়ী করছেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘কারণ আমার সাধারণ জ্ঞান আছে।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘বিমান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের প্রতিভার সর্বোচ্চ স্তরে থাকতে হবে।’

সাবেক এক এফএএ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এজেন্সির উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের নিয়োগের আগে কঠোর মানসিক ও শারীরিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর বিমান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী ও ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতারা কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

এডিএ ওয়াচ, কোয়ালিশন ফর ডিজঅ্যাবিলিটি রাইটস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক জেমস ওয়ার্ড বলেছেন, ‘একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দায়ী করা এবং তাদের সমাজে অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টাকে আক্রমণ করা ভিত্তিহীন ও বৈষম্যমূলক। এটি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য শারীরিকভাবে বিপজ্জনকও।’

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ব্রিকহাউস বলেন, ‘নিরাপত্তা বলতে বোঝায় দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করা এবং ভবিষ্যতে তা এড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। এটি রাজনীতি করার সময় নয়।’

ডেমোক্র্যাটদের কড়া প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্প তার বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিবহণ সচিব পিট বুটেজেজেরও সমালোচনা করেন।

এ প্রসঙ্গে বুটেজেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘জঘন্য। যখন পরিবারগুলো শোকে ভেঙে পড়েছে, তখন ট্রাম্পের উচিত নেতৃত্ব দেওয়া, মিথ্যা প্রচার করা নয়।’ডাইভার্সিটি কর্মসূচি বাতিলের উদ্যোগ

ট্রাম্পের প্রশাসন ইতোমধ্যে সরকারি কর্মক্ষেত্রে ডাইভার্সিটির সব কর্মসূচি বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি এক নির্বাহী আদেশে সরকারি বিমান নিরাপত্তা কর্মীদের ক্ষেত্রে ডাইভার্সিটি নীতির মূল্যায়ন ও বাতিল করার নির্দেশ দেন।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প সরকারি দপ্তরগুলোতে থাকা সব বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) সম্পর্কিত পদ বাতিলের আদেশ দেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটিতে পাঠান।

জাতীয় পরিবহণ নিরাপত্তা বোর্ড (এনটিএসবি) জানিয়েছে, তারা দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নিরপেক্ষ তদন্ত চালাবে। সংস্থাটির প্রধান জেনিফার হোমেন্ডি বলেন, ‘আমরা মানুষের ত্রুটি, যন্ত্রপাতি ও পরিবেশসবকিছুই তদন্ত করব। আমাদের তদন্ত নির্ভর করবে তথ্যের ওপর, কোনো মতাদর্শের ওপর নয়।’

ট্রাম্পের মন্তব্যের বিষয়ে এফএএ এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park