59 বার পঠিত
প্রকাশ্যে এলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ছাত্র শিবিরের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা।
গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ এবং জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে রংপুর মহানগর ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ্যে এলেন তিনি।
সমাবেশের সঞ্চালক মহানগর শিবির সেক্রেটারি নুরুল হুদা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন।
বক্তব্যে সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা আজকের এই সমাবেশ থেকে আহ্বান করতে চাই। আমাদের ছাত্রসমাজ ন্যায়বিচার, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মানবতার যেকোনো অধিকারে সচেষ্ট থাকবে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমাদের এই ছাত্রসমাজ নৈতিকতা, ঐক্য এবং দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে একতাবদ্ধ থাকবে ইনশাআল্লাহ। গত জুলাই বিপ্লবে ছাত্রসমাজ ঐক্যের শক্তি দেখিয়েছে। আগামী দিনেও ফ্যাসিবাদের দোসরদের ঐক্যবদ্ধভাবে রূখে দিবে।’
বেরোবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, গণহত্যায় অংশ নেয়া ফ্যাসিবাদিরা জামিন পাচ্ছে। আমরা বলতে চাই, তাদের জামিন বাতিল করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। গণহত্যার দায়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
বেরোবি শিবির সভাপতি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার সাইফুল ভাইকে প্রকাশ্যে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এর সাথে জড়িত ‘জঙ্গি’ সংগঠন ইসকন। তাদের বাংলার জমিনে নিষিদ্ধ দেখতে চাই। ইরান, আফগানিস্তান, তুর্কিমিনিস্তান, কাজাগিস্তানসহ অনেক দেশে ইসকন নিষিদ্ধ। আমরা চাই ৯০ ভাগ বাংলাদেশী মুসলমানের এই জমিনে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।’
এ বিষয়ে বেরোবি শিবির সভাপতি সোহেল রানা গণমাধ্যমকে জানান, ‘পরিস্থিতির কারণেই আমরা কমিটি প্রকাশ্যে না এনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। ইসলামী ছাত্র শিবির শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন, সাধারণ ছাত্রদের অধিকার নিশ্চিতে নৈতিকতা এবং ঐক্যের মাধ্যমে কাজ করবে। আমাদের সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার। তিনি ইংরেজি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে।’