24 বার পঠিত
সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ রবিবার রাত ১২টায়। ট্রলার মেরামত, নতুন জাল তৈরি ও পুরনো জাল সেলাইসহ সমুদ্রে মাছ ধরার সব প্রস্তুতি শেষ করে অপেক্ষায় আছেন কলাপাড়া উপজেলার মৎস্যজীবীরা।
জানা গেছে, মা ইলিশের বাধাহীন প্রজনন এবং সব প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর মোট ২২ দিন দেশে ইলিশ আহরণ সহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য অধিদপ্তর।তাই রুপালি ইলিশের সন্ধানে। প্রচুর ইলিশ শিকার করে ঋণের বোঝা খালি করার স্বপ্ন তাদের।
জেলে দেলোয়ার মোল্লা বলেন, দুই মাস পাঁচ দিনের নিষেধাজ্ঞ, আবারও সরকার ঘোষিত ২২ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ আমরা সব কিছুই পালন করি। আমরা পালন করলেও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের জেলেরা আমাদের সীমানায় ঢুকে মাছ ধরে নেয়।এটা দেখলে খুব কষ্ট লাগে। প্রতিবারই মাছ ধরা বন্ধ থাকার কারণে এনজিও সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার দেনা করে কোন মত চলি, আমার পরিবারে ৮ জন সদস্য রয়েছে। সরকার থেকে ২২ কেজি চাল পেয়েছি মাত্র এ দিয়ে কিছুই হয় না বর্তমানে বাজারের যে দ্রব্যমূল্যের দাম এতে একটি জেলে পরিবার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
দেশের অন্যতম মৎস্য বন্দর আলীপুরের জেলে মনির মাঝি বলেন, সরকার ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আমরা পালন করেছি। আমরা এরই মধ্যে ইলিশ মাছ ধরার সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় অপেক্ষায় আছি। আবহাওয়া অনুকলে থাকলে আজ মধ্য রাতে মাছ শিকারে যাবো।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেছেন, এবার ২২দিন অবরোধ আমাদের অনেকটা সহযোগিতা করছে জেলেরা সকাল থেকে দেখছি জেলেরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে, গভীর সমুদ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবার সরকারি তরফ থেকে জেলেদের সহযোগিতা করা হয়েছে, তিনি আরো বলেন, আমরা দিন-রাত মা ইলিশ রক্ষায় কাজ করেছি। আশা করছি, আমরা এ বছর শতভাগ সফল হয়েছি। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, অবরোধ চলাকালীন সময় প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিসহ বজ্রপাতও ও বন্যা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে সব ডিমওয়ালা মা মাছ দ্রুত ডিম ছেড়ে দেয়। এতে সমুদ্রে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ মাছ ধরা পড়বে জেলেদের জালে। এবং এবছর ভারতের জেলেরাও আমাদের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরতে পারেনি,অনাকাঙ্খিতভাবে দুই চারটি ঢুকলেও তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।