61 বার পঠিত
জামালপুরে সবজিসহ নিত্যপণ্যের সকল পণ্যের দাম হুহু করে বেডেই চলেছে। মনে হয় সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করবে । সোমবার ১৪ অক্টোবর পূর্ব জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী নান্দিনা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাজারে খুরচায় প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।
শুকনো মরিচ ২৪০ টাকা, আলু জাত বেদে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫৫-৬০-৭০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকায়, বেগুন ১০০ টাকা কেজি, পটল ১০০টাকা, বেন্ডি বা দেঁড়শ ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঝিংগা ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা,কচু মুখি ৭০ টাকা কেজি, আদা ১৮০-২০০ টাকা।
প্রতি কেজি মিষ্টি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পাট শাক, মুলা শাক, ডাটা শাকসহ বেড়েছে সব ধরনের শাক সবজির দাম।
এদিকে চাল,ডাল, আটা, ময়দার দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ও লিটারে বেড়েছে ১০ টাকা। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। ছাগলের মাংস ৮০০ টাকা। বয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৮০ টাকা। লাল কক মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগী প্রকি কেজি ৬০০। নান্দিনা বাজারে বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। বড় সাইজের রুই,কাতলা,মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, ছোট মাঝারি আকারের ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা, ছোট আকারের রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্লাসকাপ, সিলভার কাপ, মিনার কাপ, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে আড়াই থেকে ৩০০ টাকায়। শিং, মাগুর বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। এছাড়াও পাবদা, টেংরা, চিংড়ীসহ অন্যান্য ছোট জাতের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। গরিবরা ইলিশ মাছের ধারের কাছেই যেতে পারছে না।
বাজার ক্রেতা সাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষের বাজারে নিত্যপণ্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছ।
সব কিছুর দাম বেশি।কিন্ত উপার্জন বাডেনি। বেডেছে পণ্যের দাম। অটোরিকশা চালক দুলাল মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, সারাদিন রিকশা চালিয়ে ৩-৪শ’ টাকা রোজগার করা যায়। ব্যাগ নিয়ে বাজারে গেলে ওই টাকায় বাজার করা অসম্ভব হয়ে পডেছে। ছেলে মেয়েদের ভালো কিছু বাজার করে খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না। ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই।
খুচরা সবজি ব্যবসায়ী সাথে কথা বলে জানা যায়, গত কিছুদিন ধরেই সব কিছুর দাম বেড়েছে। আমরা পাইকারী দরে বেশি দামে ক্রয় করে বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়। তিনি জানান, বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারনে সবজিসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দাম বেশী । তবে আগামী ২/১ মাসের মধ্যে নতুন সবজি বাজারে আমদানি হলে শাক সবজির দাম কমতে পারে বলে তিনি জানান ।