90 বার পঠিত
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন সেনাবাহিনী প্রধান গণমাধ্যমকে বলেছেন যে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ ছয় সপ্তাহ পর সামনে এলো সেই পদত্যাগপত্র। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই পদত্যাগপত্রে দেখা গেছে, এটি গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো হয়েছিল।
তবে আওয়ামী লীগ তাদের ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে এই পদত্যাগপত্রকে ভুয়া দাবি করেছে। দলটি বলছে, দেশের টিভি চ্যানেলের ফেসবুকে এ রকম অপরিপক্ব এডিটেড কোনও পদত্যাগপত্র প্রকাশ, একটি দৈন্যতা মাত্র।
আওয়ামী লীগ ফেসবুকে ভাইরাল ওই পদত্যাগপত্রের সত্যতা নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে লিখেছে, ‘কেন এই পদত্যাগপত্র ভুয়া?’
১. তারা ভুলে এখনও মুজিব বর্ষ লোগো লাগিয়ে রেখেছে, যেই মুজিব বর্ষ ২০২১ সালে শেষ!
২. লক্ষ্য করুন ভুয়া এই পদত্যাগপত্রটি অত্যন্ত অস্পষ্ট।.
৩. পদত্যাগপত্রের ভাষা দেখুন, যা মন চায় তারা একটা কিছু লিখে পাবলিশ করে দিলো।
৪. শেখ হাসিনার স্বাক্ষরটিও গুগল থেকে নিয়েছে, যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মূল পেজের সাথে স্বাক্ষরের অংশের পিক্সেলের পার্থক্য।
৫। ৫ আগস্ট ছিলো ২১ শ্রাবণ, পদত্যাগপত্রে দেয়া ২০ শ্রাবণ!
পোস্টে আরও লিখেছে, দেশের মিডিয়াকে এ রকম নগ্নভাবে ব্যবহার করে নিজেদের হাসির পাত্র বানাবেন না। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার যে আনুষ্ঠানিকতা, সেই সময় নেননি, তিনি সোজা তেজগাঁও থেকে বিমানে করে ভারতে গেছেন। এসব বাদ দিয়ে বরং দেশের সমস্যা সমাধান করুন।
গত ৫ আগস্ট দুপুরে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে চড়ে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। এখনও সেখানেই তিনি অবস্থান করছেন। সম্প্রতি একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। সামাজিক মাধ্যমে বলা হয়েছে, এটি শেখ হাসিনা ও তানভীর কায়সার নামে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী আওয়ামী লীগের এক নেতার কথোপকথন। সেখানে বলতে শোনা যায়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি, তিনি এখনও বাংলাদেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।