279 বার পঠিত
স্বৈরাচারী সরকার আওয়ামী লীগের আমলে বাক স্বাধীনতার চরম সংকটে ছিল দেশের গণমাধ্যমগুলো।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক দেশের কথার সম্পাদক ও প্রকাশক আরিফ খান বলেন
বাংলাদেশের মানুষ ও দেশের গণমাধ্যমগুলো সবচেয়ে চরম সঙ্কটে ছিল বাক-স্বাধীনতা নিয়ে। বাক-স্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ায় গণমাধ্যমগুলোকে তখন খুবই ভেবেচিন্তে কথা বলতে হতো। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনেও ছিলো চরম বাধা। পরিস্থিতির কারণে দেশের গণমাধ্যমগুলো নিজেরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করত। কিছু লিখলে বা কোনো কথা বললে সরকারের বিরুদ্ধে যায় কিনা? বক্তব্য কোনোভাবে মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যায় কিনা? সরকার দলীয় এমপিদের বিরুদ্ধে যায় কিনা? মুজিব পরিবারের বিরুদ্ধে যায় কিনা? সরকারি দলের নেতার বিরুদ্ধে যায় কিনা? সেই ভাবনা তখন বড় শঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল । আজ তা মুক্ত, বাক-স্বাধীনতা মানুষের সভ্যতার নিদর্শন। ভাষা আছে বাক-স্বাধীনতা নেই, সেই ভাষা মূল্যহীন। গণতন্ত্র আছে, বাক-স্বাধীনতা নেই, সেই গণতন্ত্র মৃত।
মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতা মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। দেশের গণমাধ্যমগুলোকে কোন কিছু বলার বা কোন কিছু লেখার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল স্বৈরাচারী সরকার আওয়ামীলীগ, দেশের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট শত শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে একটি সভ্য স্বাধীনতার ভাষা ফিরে পায়, পূর্ণতা পায় মায়ের ভাষা এবং বাক স্বাধীনতা।