80 বার পঠিত
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আতঙ্কে, ১০ নাম্বার বিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর। ইতিমধ্যে ১৫৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি মুজিব কিল্লার পাশাপাশি কুয়াকাটার সকল আবাসিক হোটেল গুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় অবস্থানরত সকল পর্যটক ও স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এখানকার আবাসিক হোটেল গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে।বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তীব্রতা পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। আকাশে কালো মেঘ, দমকা হাওয়া,আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির প্রভাব চলছে পুরো উপকূল জুড়ে।
বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর ।পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এটি আরো ভয়ংকর রূপ নেয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান আবহাওয়া অফিস।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।তাই উপকূলের সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে কুয়াকাটার বহুতল আবাসিক হোটেলগুলো আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়। প্রতিবারের মতো এ বারেও সকল আবাসিক হোটেল গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কলাপাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইলেকট্রনিক প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এন্ড পিবিও আব্দুল জব্বার শরীফ জানান, রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার পর থেকেই বেড়েছে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা। আগামীকাল সকাল থেকে ভারী বর্ষণ,বাতাস ও সাগর নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই সবাইকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে থাকতে বলা হয়েছে।
এ বিষয় কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই মুহূর্তে কুয়াকাটা অবস্থানরত সকল পর্যটকদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করেছি আমরা। পাশাপাশি কুয়াকাটার সকল আবাসিক হোটেল গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করার পর থেকে, সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য আমরা মাইকিং করছি। সার্বিক পরিস্থিতির মোকাবেলায় টুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কন্ট্রোল রুম,মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হলে দ্রুত গাছ অপসারণের জন্য আলাদাভাবে ফায়ার সার্ভিস এবং স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হবে। এছাড়া বঙ্গোপসাগর পার্শ্ববর্তী পর্যটন নাগরিক কুয়াকাটার সকল আবাসিক হোটেল গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।