1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
কল্পকাহিনীতে ঘেরা ৫শ বছরের শিমুল গাছ! - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু,৪০৩ জন হাসপাতালে ভর্তি গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের গুম, খুন, নির্যাতনের সামগ্রিক চিত্র চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ চট্টগ্রামে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ পরেও যে কারণে পর্যটক নেই শ্যামলীতে আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা, ৩ শিক্ষার্থী আহত ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে বিজিবি অনুরোধ পিস্তলের ভয় দেখিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দিতে বলা হয় পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইনের পিরোজপুরে স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা

কল্পকাহিনীতে ঘেরা ৫শ বছরের শিমুল গাছ!

ইমরান হাসান
  • প্রকাশ মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

 305 বার পঠিত

ত্রিশাল প্রতিনিধি>ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বৃহত্তম শিমুল গাছটি ঘিরে রয়েছে নানা কল্পকাহিনী। বহন করছে নানা ঐতিহ্য। ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনার স্বাক্ষী এই শিমুল গাছটি।স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গাছটির বয়স পাঁচ থেকে ছয় শ বছর। এর ছায়ায় প্রশান্তি পান ক্লান্ত
পথিক। তবে বৃহদাকৃতির এ গাছটি ধীরে ধীরে অস্তিত্ব হারাচ্ছে। তাই এটি বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি স্থানীয়দের। গাছটি ঘিরে পর্যটনেরও বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত
এলাকাবাসীর।
ত্রিশাল উপজেলা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে সাখুয়া ইউনিয়নের বালির বাজার নামক স্থানে
গাছটির অবস্থান। এই গাছটির নিচে অনেকেই মনের বাসনা পূরণের জন্য মানত হিসাবে গরু খাসি,
মোরগ, জবাই করে রান্নাবান্না করে। গাছ দেখার জন্য আগত ভক্তদের উদ্দেশ্য একটাই যেন তাদের
মনের বাসনা পূর্ণ হয়।

৫০ শতাংশ জমির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় ১০০ ফুট লম্বা শিমুল গাছটির গোড়ার পরিধি প্রায় ৬০গজ। গাছটির গোড়ায় দাঁড়িয়ে কখনো মনে হয় পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে থাকার অনুভূতি। এর বিশালতায়ভরে যায় মন। এখানে এলে মুদ্ধতার আবেশে ছড়িয়ে যায় দর্শনার্থীর হৃদয়।

আলোচিত এই গাছটি দেখতে তাই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেকেই।স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন, আমি বাপ-দাদার কাছ থেকে শুনে আসছি এই শিমুলের বয়স কমপক্ষে ৫ শ বছর হবে। আবার গ্রামের অনেকেই বলেছে, গাছটির বয়স ৬ শ বছর বা তারও বেশি হবে।

প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো গাছটি বেড়ে উঠেছেও প্রাকৃতিকভাবেই। একসময় বেড় শিমুল গাছটি পত্র-
পল্লবে এতটাই ঘন ছিল যে এর নীচে রোদ, বৃষ্টি, কুয়াশাও পড়ত না। প্রচন্ড গরমের সময়ও গাছের
নীচে পাওয়া যেত হিমেল শান্তির পরশ। পথিক, কৃষক থেকে শুরু করে নানা পেশা ও শ্রেণির লোকজন
গাছের তলায় শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিত। দুপুর ও বিকেলে দেখা যেত ডালে ডালে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন
অনেকে।


গাছটি যার জমিতে আছে তিনি তার বাবার পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে পেয়েছেন, তিনি আবার তার বাবার
কাছ থেকে এভাবেই চলে আসছে শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে। কিন্তু কেউ বলতে পারে না এর
জন্মলগ্নের সঠিক ইতিহাস।

গাছটিকে ঘিরে প্রচলিত রয়েছে নানান কল্পকাহিনী। স্থানীয়রা অনেকেই জানান, প্রায় সময় এখানে
বিভিন্ন এলাকার লোকজন গাছটি একনজর দেখার জন্য এসে ভিড় করে থাকে। তারা মানত করে
স্থানীয়দের মাঝে মোরগ-পোলাও মিষ্টি বিতরণ করেন। তারা মনে করে এ গাছে ঔলকিক কোন কিছু
আছে। তাই মনের বাসনা পুরন করার জন্য দূর থেকে ছুটে আসে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোকছেদ আলী জানান, এই পুরাতন শিমুল গাছটি কাটার জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছে
কিন্তু কোন অবস্থাতেই কাটা যায় না। যে গাছটি কাটতে যায় সে অসুস্থ হয়ে যায়। শুনেছি অনেক আগে
এ গাছ কাটতে এসে নাক, মুখ দিয়ে রক্ত এসেও মারা গিয়েছে। এটি আমাদের এলাকার পুরাতন একটি
গাছ। এটি আমাদের ঐতিহ্য।


এলাকাবাসী আঃ আজিজ বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও নানামুখী অত্যাচারের কারণে ঐতিহ্যবাহী
শিমুল গাছটি অস্তিত্ব হুমকিতে পড়েছে। ভেঙে পড়ছে বড় বড় ডালগুলো। সকলের সহযোগিতায় আমরা
এই গাছটিকে সংরক্ষণের চেষ্টা করছি। দর্শনার্থী টানতে এলাকাবাসী বিশালকৃৃতির দৃষ্টিনন্দন এ
গাছটি সম্পর্কে প্রচারণা ও মূল রাস্তা থেকে গাছের গোড়া পর্যন্ত পাকা সংযোগ সড়ক তৈরিসহ
বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park