147 বার পঠিত
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) বিশ্বমানের একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিজিবি সদস্যদের চেইন অব কমান্ড মেনে কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে পিলখানায় বিজিবি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদকরোধ ও দেশের অভ্যন্তরে অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ভূমিকা রেখেছে তারা। বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হয়ে এগিয়ে যাবে বিজিবি- এটাই আমার প্রত্যাশা।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের আভ্যন্তরীণ যেকোনো সমস্যায় আগুন সন্ত্রাস থেকে শুরু করে নানা ঘটনা ঘটেছে। বিজিবির সদস্যরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জানমাল রক্ষায় সব সময় ভূমিকা রাখে। বিজিবি জাতির আস্থা বিশ্বাস অর্জন করেছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে আমরা বিশ্বমানের আধুনিক সীমান্ত বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেজন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ আমরা প্রণয়ন করেছি। যেভাবে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ করতে চাই, সেরকম বিজিবিও হবে স্মার্ট বাহিনী।”
বিজিবির বর্ডার পদ বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজিবির পাঁচজন অতিরিক্ত মহাপরিচালকের নেতৃত্বে পাঁচটি রিজিয়নে বিভক্ত করা হয়েছে। বিজিবির সাংগঠনিক কাঠামোতে নতুন ইউনিট, সেক্টর রিজিয়ন সৃষ্টির ফলে কমান্ড লেভেলে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটে দায়িত্বপূর্ণ এলাকা কমে যাওয়ায় সুষ্ঠু সুন্দরভারে সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত অপরাধ দমন ও সীমান্তবর্তী মানুষের জানমাল রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারছে। আমরাই প্রথম নারীদের বিজিবিতে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ দিয়েছি। বিজিবির পোশাক পরিবর্তন করেছি।”
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিজিবি সদর দপ্তরের বীরউত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
কুচকাওয়াজ শেষে বীরত্ব ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিবির ৭২ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।