92 বার পঠিত
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পৌষের শেষে ফের জেঁকে বসেছে হাড় কাঁপানো শীত।টানা কয়েক দিন ধরে এ জনপদের উপর বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।দিন-রাত সমান তালে বৃষ্টির আদলে ঝির ঝির করে পড়ছে শিশির কনা।কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পল্লী গাঁ গ্রাম,শহর-বন্দর ও মাঠ প্রান্তর।গত ৩ দিন ধরে মেঘাছন্ন আকাশে উদয়-অস্তে দেখা মিলছেনা সূর্যের।
উত্তর থেকে ধেয়ে আসছে শির শিরে হিমের বাতাস।এমন বৈরি আবহাওয়ায় বেড়েছে প্রচন্ড শীতের প্রকোপ।শীতের এ সাঁড়াশি আক্রমনে জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় স্বাভাবিক জীবন যাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমওজীবি মানুষ।হিয়ালি ঠান্ডায় কাজে যোগ দিতে না পারায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।মোটা শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল,অসহায়,নি¤œ আয়ের মানুষসহ বিভিন্ন মাদ্রসা-এতিম খানায় অধ্যায়নরত দরিদ্র-এতিম শিক্ষার্থীরা নিদারুন কষ্টে আছেন।তারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে শীতের এই অসহ্য যন্ত্রনা।এ যন্ত্রনা থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে তারা সকাল-সন্ধা ও নিশি রাত পর্যন্ত খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।সরকারি,বে-সরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
অপরদিকে শীতের এমন বিরূপ আবহাওয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সর্দি,কাশি,নিউমোনিয়া,ডায়রিয়া,পাতলা পায়খানা,স্বাস কষ্টসহ নানা রোগ বালাই।এসব রোগ-বালাইয়ে শিশু-বৃদ্ধরাই আক্রান্ত হ্েচ্ছ বেশি।হাসপাতালসহ নানা চিকিৎসা কেন্দ্রে তারা সেবা নিচ্ছেন।হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলছেন,ঠান্ডা জনিত কারণে নানা বয়সি রোগীর ভিড় বাড়লেও যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু গুলো শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে।
নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গরু,ছাগল, ভেড়া,হাঁস,মুরগি।প্রতিনিয়ত ভ’ক্তভোগি মানুষ তাদের গবাদি পশুর চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগে ভিড় করছেন।প্রাণি সম্পদ বিভাগ জানান,গবাদি পশুর চিকিৎসাসহ মালিকদের শুকনো খাবার,গোয়ালে তাপের ব্যবস্থা রাখাসহ পশুর গায়ের চটের বস্তা জড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।সরেজমিনে দেখা যায়,শীত বাড়ার সাথে সাথে ফুটপাত থেকে বিপনি বিতান গুলোতে শীতের পোশাক বিক্রি জমে উঠেছে।
তবে নি¤œ আয়ের মানুষ ছুটছেন সস্তা দরের ফুটপাতের দোকানে।সাত সকালে রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে।এ সময় অটো চালক আব্দুস ছামাদ বলেন,শীত,কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে হাত পা বরফ হয়ে যাচ্ছে।রাস্তায় গাড়ি চালানো যাচ্ছেনা।প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের না হওয়ায় যাত্রীর সংখ্যাও কমে গেছে।এতে সংসার চালনোা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।উত্তর দুরাকুটি হাড়িবেচা পাড়া গ্রামের আমিনা বেওয়া,নুর বানু,লাভলি বলেন,শীতে পুরো শরীর কাঁপছে।মোটা শীতবস্ত্রও নেই।তাই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।