184 বার পঠিত
ঝালকাঠির রাজাপুরে সুদ মুক্ত মুনাফার কথা বলে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে আল-হেমায়েত মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম। দেখা মিলছেনা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরও। প্রধান কার্যালয়ে ঝুলছে তালা।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে গ্রাহকরা উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পাকাপোল বাজার এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়।
আল-হেমায়েত মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ এ টাকা জমা রাখা আলেয়া বেগম, মিজানুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, মো. হানিফ, মহিউদ্দিন খান, আলতাফ, কামাল, হেলেনা সহ একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় মাওলানা রফিকুল ইসলাম আকন, মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও মাওলানা হেলাল উদ্দিন নামের তিনজনে মিলে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলে যার রেজি ঃ নং- ০১২/ঝাল।
এই প্রতিষ্ঠানির প্রধান পৃষ্টপোষক আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী (পীর সাহেব কারীমপুর),চেয়ারম্যান মাওলানা রফিকুল ইসলাম , ভাইস চেয়ারম্যান মুফতী হেদায়েত উল্লাহ আনসারী, সাধারণ সম্পাদক মুফতী সৈয়দ তাজুল ইসলাম , মাওলানা হেলাল উদ্দীন ওয়াজ মাহফিল সহ বিভিন্ন স্থানে বসে বয়ান পেস করতেন যে, “ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে সেটা সুদ হয়” আর আলেম ওলামাদের প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখলে সেটা সুদ হয়না এবং এটাই ইসলামের আইন।
ইসলাম ধর্মকে পূজিঁ করে এমন কথা বলে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সহজ সরল মানুষদেরকে ভুল বুঝিয়ে তাদের জীবনের অর্জিত অর্থ হাতিয়ে নেয়। অল্পের ভিতরেই বেশ কিছু গ্রাহককে মোটা অংক মুনাফা (লাভ) দিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষকে প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ^াস ও আকৃষ্ট করে তোলে। এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কারীমপুরের পীর সাহেব আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী এলাকার ওয়াজ মাহফিল সহ বিভিন্ন সময়ে এ প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখতে পরামর্শ দেন।
তার উপর ভক্তি শ্রদ্ধা করে এলাকার অনেকেই এ প্রতিষ্ঠানে টাকা জমা রাখেন। এমন পরিস্থিতিতে এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের জন্য রাখা শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে নি:স্ব হতে চলছেন কয়েক’শত গ্রাহক।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান মুফতী হেদায়েত উল্লাহ আনছারী গণমাধ্যমকে জানান, আমি নামে মাত্র ভাইস চেয়ারম্যান, টাকা পয়সার লেনদেন ও জমি জমা ক্রয় সহ সকল বিষয় মাওলানা রফিকুল ইসলাম একাই পরিচলনা করতেন। আমার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানে যে গ্রাহকরা টাকা জমা রেখেছেন আমি তাদের সাথে বিষয়টি সমাধান করে নিবো।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, এ বিষয়ে এখন পযর্ন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।