238 বার পঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতার সাথে সজ্জিত হয় শুধুমাত্র উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাই ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উচ্চ মানের শিক্ষাদান, মৌলিক গবেষণার কাজ, সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা এবং যোগ্য মানবসম্পদ গঠনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবরে যাত্রা শুরু হয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের। শুরুর দিকে বিভাগের সুনাম থাকলেও করোনাকালীন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সংকটের মুখে পড়ে এ বিভাগটি । বর্তমান শিক্ষকদের নিরলস তত্ত্বাবধানে বিভাগটি বিভিন্ন পটভূমির শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আকর্ষণ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে এবং এর একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে।
এ বিভাগটি সাধারণভাবে ব্যাচেলর অফ সোশ্যাল সায়েন্স (বিএসএস), মাস্টার অফ সোশ্যাল সায়েন্স (এমএসএস), মাস্টার অফ ফিলোসফি (এমফিল), এবং ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচডি) সহ চারটি প্রোগ্রাম সরবরাহ করে। প্রোগ্রামগুলি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা তৈরি, জ্ঞান অর্জন, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতার সাথে সজ্জিত হয়। সহপাঠ্যক্রমিক এবং অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমও শিক্ষার্থীদের সহানুভূতি, নেতৃত্ব, সততা এবং মানবিক গুণাবলীর সাথে পরিপূর্ণ করে।
উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, আমাদের শিক্ষকেরা খুবই আন্তরিক। নিয়মিত ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, অ্যাসাইনমেন্টস, রিসার্চ প্রোপোজাল, কোশ্চেনেয়ার সহ গবেষণামূলক কার্যক্রম সেমিস্টার জুড়ে চলতেই থাকে। অন্য বিভাগ থেকে আমরা এগিয়ে ও সেশন জটের শঙ্কাও নেই বললেই চলে। ক্লাসরুমের জটিলতা আছে তবে আমাদের শিক্ষকেরা সব ধরনের জটিলতার সমাধান করে অন্যদের থেকে এগিয়ে নিয়েছেন আমাদের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ।
বিভাগের সভাপতি প্রফেসর এ এইচ এম নাহিদ বলেন, আমাদের বিভাগের শক্তি হল এর গতিশীল শিক্ষা ও শিক্ষণ পরিবেশ যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সর্বোত্তম সম্ভাবনা অর্জন করবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই বিভাগ থেকে স্নাতক হওয়া শিক্ষার্থীরা দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সমসাময়িক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নয়নের বহুমাত্রিক বিশ্লেষণমূলক জ্ঞানে সুসজ্জিত হবে।