173 বার পঠিত
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের দুইটি মামলায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের ৯ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
এসময় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপির কয়েকশ’ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মোতায়ন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) সৈয়দা আমিনা পারহিন তার এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ও জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন।
বিএনপির নেতাদের জামিন নামঞ্জুর করার পর লক্ষ্মীপুর কোর্ট চত্বরে বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। কোর্ট চত্বরসহ লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তারা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাব উদ্দিন সাবু।
এ মামলায় যাদের জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান রাজন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতিজুয়েল মাহমুদ, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকত সৌরভ, সদর পূর্ব ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়েজিদ ভূঁইয়া।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আহমেদ ফেরদৌস মানিক জানান, বিরোধী দলকে দমন করতে আজকের এ রায়। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। ইতোপূর্বে মহামান্য হাইকোর্ট আসামিদের আগাম জামিন দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও সজিব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় পরদিন ১৯ জুলাই রাতে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে নিহত সজিবের মেজো ভাই সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পাশাপাশি মজুপুর এলাকায় কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবন ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এছাড়া দায়িত্ব পালন কাজে বাধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১ হাজার ৫০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সেই সঙ্গে বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলাতেও বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।