ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি >ঠাকুরগাঁও শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মেহেদীকে (১৬) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিক্ষার্থী আরমান (১৪) ও গালিফ (১৬)।
বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার সেনিহারী গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে এবং সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
আহতরা হলেন: ঠাকুরগাঁও শহরের পরিষদপাড়া এলাকার মো. জুয়েলের ছেলে আরমান এবং সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ও একই এলাকার মো. মিঠুর ছেলে গালিফ এবং সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
আহত আরমানের বাবা মো. জুয়েল বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর আমার ছেলে আরমান, ভাগিনা গাফিল ও প্রতিবেশি মেহেদী বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের বিসিকশিল্প নগরী এলাকার শামীমের হোটেলে চা খাওয়ার জন্য যায়। চা খাওয়া শেষে বাড়িতে ফেরার পথে মোবাইল ফোনের লাইট জ¦ালিয়ে তারা বাড়িতে ফিরছিল। এসময় রাস্তায় মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন দুর্বৃত্ত আরমান, মেহেদী ও গালিফকে বেধরক পেটায়। এক পর্যায়ে ঐ দুর্বৃত্তরা ধারালো ছোড়া দিয়ে মেহেদীকে কোপাতে থাকে, এসময় মেহেদীকে বাঁচাতে আমার ছেলে আরমান এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আহত অবস্থায় আমার ছেলে আরমান মুঠোফোনের মাধ্যমে আমাকে জানায় তাদেরকে মারপিট ও জখম করা হয়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় মেহেদী, আরমান ও গালিফকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষনা করে।
মো. জুয়েল বলেন, কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে কিছুই বলতে পারছিনা। যারাই এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকুক আমি তাদের দ্রæত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মোছা: সাবরিনা বলেন, নিহত মেহেদীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়।
এছাড়াও আহত আরমানের বাম পায়ের রানে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, এতে বেশ ভালো ক্ষত হয়েছে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে আহত আরেকজন গালিফ তার শরীরে ফোলা জখমের দাগ রয়েছে, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে নিহত মেহেদীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।