1. admin@daynikdesherkotha.com : Desher Kotha : Daynik DesherKotha
  2. arifkhanjkt74@gamil.com : arif khanh : arif khanh
১৭ই ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জে উড়ে স্বাধীন পতাকা,ত্রিমুখী আক্রমণে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় রাজাকার বাহিনী।  - দৈনিক দেশেরকথা
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্বৈরাচার পতনে বাক স্বাধীনতা  ফিরে পেয়েছে গণমাধ্যম গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু,৪০৩ জন হাসপাতালে ভর্তি গণভবনকে স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করে তুলে ধরা হবে ১৬ বছরের গুম, খুন, নির্যাতনের সামগ্রিক চিত্র চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ চট্টগ্রামে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ পরেও যে কারণে পর্যটক নেই শ্যামলীতে আবাসিক হোটেলে শিক্ষার্থীদের অভিযান, হামলা, ৩ শিক্ষার্থী আহত ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে বিজিবি অনুরোধ পিস্তলের ভয় দেখিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দিতে বলা হয় পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইনের পিরোজপুরে স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা

১৭ই ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জে উড়ে স্বাধীন পতাকা,ত্রিমুখী আক্রমণে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় রাজাকার বাহিনী। 

এম সাইফুল ইসলাম
  • প্রকাশ রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

 191 বার পঠিত

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ নিয়াজী ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে মুক্তিবাহিনীর যৌথ কমান্ডের অধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণ করে।বিজয় হয় মুক্তিকামী  জনতার। বিজয়ের আনন্দে সারাদেশ যখন উত্তাল তখনো কিশোরগঞ্জের মাটিতে উড়ছিল পাকিস্তানি পতাকা। পরদিন ১৭ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় কিশোরগঞ্জ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের আনন্দে সারাদেশ উত্তাল। কিন্তু এদিন বিজয়ের আনন্দ ছিল না কিশোরগঞ্জবাসীর।সেদিনও তাদের মনে ছিল অজানা আতঙ্ক। শহরের নিয়ন্ত্রণ ছিল হানাদার বাহিনীর দোসর এ দেশীয় রাজাকার-আলবদর ও আল শামস বাহিনীর হাতে।পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১২ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ ছেড়ে গেলেও শহরে শক্ত ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান নেয় স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার-আলবদর বাহিনী। তাদের হাত থেকে কিশোরগঞ্জকে মুক্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক প্রস্তুতি নেন।মুক্তিযুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে কিশোরগঞ্জ শহর চারদিক থেকে ঘিরে শক্ত অবস্থান নেয় মুক্তিবাহিনী। ওই দিন গভীর রাতে কবীর উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল করিমগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে সতাল এলাকায় এসে অবস্থান নেন।  অবস্থা বেগতিক দেখে রাজাকার বাহিনী অধ্যাপক জিয়া উদ্দিন আহমেদ (আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের তত্কালীন প্রধান শিক্ষক)ও হেলাল উদ্দিনের মাষ্টারের মাধ্যমে  মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন বলে খবর পাঠান।রাজাকারদের সাথে আলোচনা চলে রাত বারোটা পর্যন্ত অতঃপর রাজাকাররা বিনা শর্তে আত্মসমর্পণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। রাজাকার কমান্ডার আব্দুর রহমান জামী (মুক্তিযুদ্ধকালীন কটিয়াদী থানার ওসি) মাইকে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণের ঘোষণাটি প্রচার করেন। ১৭ ডিসেম্বর সকালে একটি খোলা জিপে করে মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সশস্ত্র দল সর্ব প্রথম কিশোরগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে।আরেকটি দল হান্নান মোল্লা, ছাব্বির আহমেদ মানিক, আনোয়ার কামালের নেতৃত্বে শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল দিয়ে কিশোরগঞ্জে প্রবেশ পথে কামালিয়ারচর ও খিলপাড়া এলাকায় আলবদরদের বাধার সম্মুখীন হন। বাধা অতিক্রম করে এ দলটিও কিশোরগঞ্জে প্রবেশ করে।  পরে বিভিন্ন দিক থেকে গেরিলা মুক্তিসেনারা ভারতীয় মিত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন চৌহানের নেতৃত্বে কিশোরগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে। শহরের পুরান থানা শহীদি মসজিদ সংলগ্ন ইসলামিয়া ছাত্রাবাস মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার-আলবদর বাহিনী। এর পরপরই বদলে যায় শহরের চিত্র। বিজয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে চারপাশ। পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে কিশোরগঞ্জের আকাশে উড়ানো হয় স্বাধীন সার্বভৌম প্রিয় বাংলাদেশের রক্তিম পতাকা। মুক্তিযোদ্ধা, মিত্রবাহিনী আর জনতার উলাস ধ্বনি, আনন্দ উচ্ছ্বাস আর মুক্তির চিরন্তন স্বপ্ন বাস্তবায়নের ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় স্বাধীন কিশোরগঞ্জের মুক্ত আকাশ।

দেশেরকথা/বাংলাদেশ

এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা

এই সাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া কপি করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।কপিরাইট @২০২০-২০২৪ দৈনিক দেশেরকথা কর্তৃক সংরক্ষিত।
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park